পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৮৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.やか○ゲ দেবগণের মর্ত্যে আগমন চিকিৎসা প্রণালীর প্রতি র্তাহার অনুরাগ জন্মে। ডাক্তার টনার নামক একজন প্রসিদ্ধ ইংরাজ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক সেই সময়ে কলিকাতায় আসিয়াছিলেন । রাজেন্দ্র বাবু তাহাকে কলিকাতায় প্রতিষ্ঠিত করিবার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করিতে লাগিলেন । এই স্বত্রে তাহার চেষ্টায় কলিকাতায় একটি হোমিওপ্যাথিক হাসপাতাল স্থাপিত হয়। পরে যখন ডাক্তার বেরিনি কলিকাতায় আসেন, তখনও রাজ বাবু তাহার প্রধান সহায় হন । এই বারে তিনি এ দেশে হোমিওপ্যাথির প্রচারে বদ্ধপরিকর হইয়াছিলেন । এ দেশীয়দিগের মধ্যে তিনিই প্রথম হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক। র্তাহার সহয়ত বড়ই প্রশংসনীয়। রোগীকে বাচাইবার জন্ত তিনি যেরূপ নিঃস্বার্থভাবে চেষ্টা করিতেন, সেরূপ অধুনা প্রায় দেখা না । [ ১৮৮৯ সালে তাহার মৃত্যু হইয়াছে। ] এখান হইতে সকলে লালবাজারের মধ্যে প্রবেশ করিলে দেবরাজ কহিলেন, “বরুণ ! এ বাজারটর নাম কি ? বাজারের মধ্যে অনেক কাঠ কাঠরার দোকান দেখিতেছি । বরুণ। এই বাজারটর নাম লালবাজার । এই বাজারে অনেকগুলি বাঙ্গালীর কাঠ কাঠরার দোকান আছে। ল্যাজরস কোম্পানী নামক ইংরাজ সদাগরের দোকানে সুন্দর সুন্দর কোঁচ প্রভৃতি প্রস্তুত হয়। বাঙ্গালীর দোকানে ইংরাজ দোকানদারের অপেক্ষা সস্তা দরে পাওয়া যায় বলিয়া অনেক ইংরাজেও এখানে দ্রব্যাদি খরিদ করিয়া থাকে। এই বাজারে বিস্তর মদের দোকান আছে, এবং হিন্দুস্থানী মুচীর দোকানও বিস্তর। এক সময়ে লালবাজারের জুতা বড় বিখ্যাত ছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এক্ষণে লোকের রুচির এত পরিবর্তন হইয়াছে, চীনেম্যানের বাড়াও দুরে থাক—সাহেব বাড়ীর জুতা ন হইলে পছন্দ হয় না। উপ। বরুণ কাক! সাহেবদের কেমন জুতা, সেটা বল ? ব্ৰহ্মা। বরুণ ! ওদিকে দেখা যাইতেছে কি ?