পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৮৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Woo - দেবগণের মর্ত্যে আগমন এক স্থানে থাকে না। কখন মুরগীহাট, কখন চিৎপুর রোড, কখন ধৰ্ম্মতলা, এইরূপ স্থান পরিবর্তন করিয়া থাকে। ইহারা গবর্ণমেণ্টকে লাইসেন্স দিয়া সিদ্ধ হইয়া বলিয়াছে। ইহাদের প্রতারণা ধরিয়া প্রমাণ করা কঠিন । কারণ, বিদেশী লোক কলিকাতায় আসিয়া ঠকিল সত্য ; কিন্তু সাক্ষী সাবুদ পাবে কোথায় ? প্রতারকদের সাক্ষীর অভাব নাই । প্রায় এক লক্ষ গুও ইহাদের দলভূক্ত। এখান হইতে কিছু দুর যাইয়া দেবগণ দেখেন—একটা লোক হায় হায় করিয়া বুক চাপড়াইতেছে। জিজ্ঞাসা করিলে কছিল, “মহাশয়, আমি সোমড়ার মুস্তফী বাবুদের একগাড়ী জিনিষ পত্র নৌকা হইতে তুলিয়া গাড়ী ভাড়া করিয়া তাহাদের বাসায় নিয়ে যাচ্ছিলাম। গাড়োয়ান বেটা এই ৫৬ খান গাড়ীর গোলে মিশিয়া কোন গলি দিয়া পালাইয়াছে খুজিয়া পাচ্চি না ।” এখান হইতে যাইয়া সকলে চিৎপুর রোডের দক্ষিণ অংশে উপস্থিত হইয়া একটি বাজারের মধ্যে প্রবেশ করিলে নারায়ণ কহিলেন “বরুণ ! এ বাজারটর নাম কি ?” বরুণ। এই বাজারটার নাম টিরেট বাজার । মৃত টিরেট সাহেব কর্তৃক এই বাজার সংস্থাপিত হওয়ায় ইহার নাম টিরেটার বাজার হইয়াছে। উক্ত সাহেবের মৃত্যুর পর লটারির দ্বারা বাজারটা হস্তান্তরিত হইয় এক্ষণে বর্তমানের মহারাজার সম্পত্তি হইয়াছে। ইন্দ্র । বাজারটা বড় সুন্দর । বরুণ। এই বাজারে বাঙ্গালী ও ইংরাজ প্রভৃতির নানাজাতীর খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় হইয়া থাকে। কাজল, কোকিল, কাকাতুয়া, ময়ম, ময়ুর প্রভৃতি পক্ষী এই বাজার ভিন্ন অন্ত বাজারে বিক্রয় হয় না । উপ। বরুণ-কাকা! একটা ময়না কিনে নিলে হয়। নার। বরুণ ! বাজারের দোকানগুলির উপরের ঘরে কি হয় ?