পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৮৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

や88 দেবগণের মর্ত্যে আগমন এখান হইতে একস্থানে যাইয়া দেখেন—আস্ত আস্ত গরু টাঙ্গান রহিয়াছে। বরুণ,কহিলেন “এই স্থানের নাম খালাসীটোলা । মেছুয়াৰাজার রোড এই স্থান হইতে আরম্ভ হইয়াছে। মুসলমান ও কাফ্রি প্রভৃতি দুৰ্ব্বত্ত খালাসীরা এই স্থানে বাস করায় নাম খালালীটোলা হইয়াছে ৷ সন্ধ্যার সময় এখান দিয়া গমনাগমন করা দুঃসাধ্য ।” এখান হইতে এক স্থানে উপস্থিত হইয়া বরুণ নারায়ণ ও দেবরাজকে গোপনে কছিলেন, “এই স্থানের নাম সিন্দুরেপটী । ইহা চিৎপুর রোডের একটা শাখা মাত্র। এখানে ২৪ পয়সা মূল্যের সস্তা বেতার বাস করে } সন্ধ্যার সময় এই পাপিষ্ঠার দলবদ্ধ হইয়া রাস্তায় দাড়াইয়া থাকে এবং কোন ব্যক্তি রাস্ত দিয়া যাইলে “ও মানুষ” “ও মানুষ" শব্দে চীৎকার করিয়া ডাকে। ভদ্র লোকেরা মান সন্ত্রমের ভয়ে পলায়, নষ্ট লোকেরা হাস্ত করিয়া নিকটে যায় এবং যখন দেখে, মাগীগুলো চুটিয়া আসিয়া “আমার বাড়ী চল” “আমার বাড়ী চল” বলিয়া টানাটানি আরম্ভ করে, সেই সময় হাস্তে হাসতে জিজ্ঞাসা করে, “বলি, রামভদ্রগুড়ে তোমায় ঘরে নাই ত?” অমনি মাগীগুলে তাহার হাত ছাড়িয়া দিয়া যা মুখে আসে তাই বলিয়। গালি দেয় ।” নারা । এর কারণ কি ? বরুণ। এই স্থানের বেগুদিগের মধ্যে একজনের, রামভদ্র খুড়োর নাম করায় পদার হয় নাই বলিয়া কোন বেশু ঐ নাম উচ্চারণ কিংবা শ্রবণ করে না । ব্ৰহ্মা। বরণ ! বাসায় চল ; সন্ধ্যাও প্রায় হ’ল এবং আমার শরীরটাও ভাল নহে, আজ আর নগর ভ্রমণে আবস্তক নাই । বরুণ তৎশ্রবণে পিতামহকে একখানি গাড়ী ভাড়া করিয়া উপ’কে সঙ্গে দিয়া কহিলেন, “আপনি বাসায় যান, আমরা ৪৫ মিনিট পরে যাইতেছি।” পিতামহ চলিয়া যাইলে তিন জনে মেছুয়াবাজারের মধ্যে প্রবেশ করিয়া