や8b" দেবগণের মর্ত্যে আগমন ক্ষীরের ছাঁচ, ক্ষীরের মাচ, ক্ষীরের আঁচ, ক্ষীরপুলি চাই।” দূরে শব হইতেছে বরফ”—“চাই বেল ফুল ।" এ দিকে রামকৃষ্ণ গুড়ির দোকানের কাছে দাড়াইয়া একটা বেঙ্গ মদ দিতে কহিতেছে। রামকৃষ্ণ একটা ছেলের হাতে বোতল দিয়া বেণ্ডার সহিত পাঠাইয়া দিতেছে। সম্মুখের দোকানী বেস্তাকে লক্ষ্য করিয়৷ চীৎকার করিতেছে তপসী মাছ” ইলিশ মাছ ।” কোন দোকানে মদের বোতল বগলে করিয়া একজন লম্পট শালপাতার ঠোঙ্গায় মাছভাজা, ফুলুরি, ডিম সিদ্ধ কিনিতেছে। দূরে স্থাকিতেছে “গোলাপী থিলি।” বরুণ কহিলেন, “এস্থানের বাইওয়ালির মধ্যে ইলাহি জান এবং খেম্টওয়ালীর মধ্যে হরিদাসী ও কামিনী বিখ্যাত।” দেবগণ এখান হইতে বাসায় চলিলেন। যাইতে যাইতে দেখেন—একটা ঘরে কতকগুলো ছেলে দাড়াইয়া আছে । নারায়ণ কহিলেন, “আমাদের উপ’র মত কে দাড়াইয়া ?” * বরুণ । উপ’ই বটে, এটা ফুলবাবু সাজিবার আড্ডা। উপ বোধ হয় এয়ারদের সঙ্গে ফুলবাবু সাজিতে আসিয়াছে। ইন্দ্র । ফুলবাবু সাজিবর আডডা কি ? বরুণ। এই স্থানে দুটা করিয়া পয়সা দিলে বেশ করে ব্রস দিয়া চুল ফিরাইয়া দেয় এবং মাথায় একটু গন্ধদ্রব্য দিয়া গোপে ও ভ্রতে আতর মাখাইয় দেয় ও বিদায়কালে হাতে একটা গোলাপী খিলী ও পকেটে একটা গোলাপ ফুল গুজিয়া দেয়।
- হতভাগা ছেলে মরেছে!” বলিয়া নারায়ণ “উপ” “উপ” শব্দে ডাকিতে লাগিলেন। উপ’র এই সময় ফুলবাবু সাজা শেষ হইয়াছিল। “যাই” বলিয়া, বাহিরে আসিয়া কহিল, “আমি স্ব-ইচ্ছায় আসিনি, ওরা আমাকে জেদ ক’রে এনেছিল |”
ইন্দ্র। “বেস সেজেছিল, এখন বাসায় চল” বলিয়া দেবগণ উপ’কে