কলিকাতা \SNరి এই তৈল মাখিলে গাত্রের কাল রং ঘুচিয়া শাদ হয়! যদি কাহারওঁ ফর্স হইবার ইচ্ছা থাকে, এক এক শিশি খরিদ করিয়া পরীক্ষা করুন। প্রশংসা পত্র দেখুন— ছ্যাছড়া গ্রামের মহারাজাধিরাজ প্রবলপ্রতাপান্বিত শ্ৰীযুক্ত লম্বাচওড়া রাম বিটকেলোপাধ্যায় বাহাদুর কুন্তলেশ্বর তৈল সম্বন্ধে লিখিয়াছেন “আপনার কুস্তলেশ্বর তৈলের গুণ একমুখে প্রকাশ করিতে পারিলাম না। যে সমস্ত গুণের কথা আপনি বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করিয়াছেন, তাহ কড়ায় গণ্ডায় মিলাইয়া পাইলাম। টেকোর চুল উঠিবে ইহাতে আর বিচিত্র কি ? সে দিন আমার ছোট কাক আমার টেবিলের উপর খানিকট তেল ঢালিয়া ফেলিয়াছিল। পর দিন দেখি, টেবিলের উপরটায় বাঁকুড়া ঝাকৃড়া চুল গজাইয়াছে। আশ্চৰ্য্য ব্যাপার! আর এক শিশি পাঠাইবেন ।” এই পত্রিক প্রতি শনিবারে বরুণোদয় কাৰ্য্যালয় হইতে শাখাশনি কর্তৃক প্রচারিত হইয়া থাকে। ব্ৰহ্মা। লিখেছে মন্দ নয় । ইহার পর দেবগণ আহারাদির উদ্যোগ করিলেন এবং আহারাস্তে বিশ্রাম করিয়া অপরাহ্লে নগর ভ্রমণে বহির্গত হইলেন । তাহার চোরবাগানের মধ্যে কিছু দূরে যাইয়া দেখেন, দক্ষিণে একটা সুন্দর অট্টালিকা শোভা পাইতেছে। বাড়ীটির দরজায় সঙ্গীন ঘাড়ে শান্ত্ৰিপাহার। বাড়ীটির সন্মুখ লৌহ রেলিং দ্বারা পরিবেষ্টন করা। তন্মধ্যে নানাপ্রকার বৃক্ষ এবং ংখ্য টবে পুষ্পবৃক্ষসকল শোভ পাইতেছে। দেবগণ ফটক দিয়া উদ্যানের মধ্যে প্রবেশ করিয়া দেখেন, স্থানে স্থানে নানা প্রকার পশু পক্ষী বিচরণ করিতেছে । ইন্দ্র। বরুণ ! এ বাড়ীটি কাহার ? বাড়ীটি কলিকাতার মধ্যে সুন্দর বলিয়া বোধ হইতেছে।
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৮৭৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।