এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
ॐ७8 দেবগণের মর্ত্যে আগমন বরুণ। বাড়ীটি রাজা রাজেন্দ্রলাল মল্লিকের ৷ ইহঁার বাড়ীর প্রতি অত্যন্ত সখ থাকায় বৎসর বৎসর মেরামত ও নূতন নূতন ফ্যাসানে মুসজ্জিত করেন । , ইজ। বাটীর ভিতরে প্রবেশমুমতি আছে ?
- চল না” বলিয়া বরুণ সকলকে লইয়া ভিতরে প্রবেশ করিলেন । ভিতরে যাইয়া দেখেন—বাড়ীটি বড়ই মুন্দর। উঠানটা মাৰ্ব্বেল প্রস্তর দ্বারা বাধান। মধ্যস্থলে নৃত্য গীতের স্থান। নিম্নে ও উপরে মুন্দর বারাও সকল বিরাজ করিতেছে । নীচের বারাণ্ডার এক স্থানে কতকগুলো ছবি রহিয়াছে। দেবগণ পূজার দালানটা দেখিয়া অত্যন্ত আহলাদ প্রকাশ করিতে লাগিলেন ; দালানটা অতি বৃহৎ অথচ এক ফুকুরে। ঐ ফুকরের উপরিস্থ খিলানট এত বৃহৎ যে সাত ফোকর তন্মধ্য দিয়া গমনাগমন করিতে পারে । এখান হইতে সকলে বৈঠকখানা দেখিয়া চমৎকৃত হইলেন । বৈঠকখানাট এমন সুন্দর সাজান যে, দেবগণ কহিলেন, “আমরা এরূপ কথন চক্ষে দেখি নাই।” গৃহটী বহুমূল্য দ্রব্যাদির দ্বারা পরিপূর্ণ করা রহিয়াছে এবং সোণ, রূপ হীরার বৃক্ষসকল বিরাজ করিতেছে। বরুণ কহিলেন “ইনি ছুর্ভিক্ষের সময় দীন দুঃখীদিগকে অকাতরে অল্প দান করায় রায় বাহাদুর উপাধি প্রাপ্ত হন । তৎপরে মান্দ্রাজ দুর্ভিক্ষে কয়েক লক্ষ টাকা সাহায্য করায় রাজা বাহাদুর উপাধি পাইয়াছেন, তদবধি দ্বারে শাস্তি পাহারা বসিয়াছে। অদ্যাবধি ইহঁার বাটতে প্রত্যহ সহস্ৰ কাঙ্গালীকে অল্প দেওয়া হইয়া থাকে ।
ব্ৰহ্ম । বরুণ, এই বংশের বিষয় বল । বরুণ । ইহার কলিকাতার বহুদিনের অধিবাসী। জাতিতে সুবর্ণবণিকৃ। এই বংশের যাদবচন্দ্র শীল নবাব সরকার হইতে মল্লিক উপাধি প্রাপ্ত হন। এবং জয়রাম মল্লিক প্রথম আসিয়া কলিকাতায় বাস করেন। রাজা রাজেন্দ্রলাল মল্লিক এই বংশোদ্ভব। ১৮১৯ সালে ইহার
