পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৮৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা やや● জন্ম হয়। ১৮৬৭ সালে ইনি গবর্ণমেণ্ট হইতে রায় বাহাদুর উপাধি প্রাপ্ত হন। ঐ সালের দুর্ভিক্ষে ইনি যথেষ্ট ব্যয় করায় ১৮৭৭ সালে কলিকাতার দরবারে উচ্চতর উপাধি প্রাপ্ত হন । ইহঁার বৈঠকখানা ও চিড়িয়াখানা বড় সুন্দর। কলিকাতার জিওলজিকেল গার্ডেনে ইনি নিজ ব্যয়ে একটা গৃহ নিৰ্ম্মাণ করিয়া তাহাতে অনেক মূল্যবান জন্তু প্রদান করিয়াছেন। ঐ গৃহে লেখা আছে “মল্লিকের ঘর।” ইহঁার বাগানে অনেক সুন্দর সুন্দর গাছ আছে। রাজার দুই পুত্র, কুমার গিরীন্দ্রনাথ ও সুরেন্দ্রনাথ মল্লিক। দেবগণ এখান হইতে মেছুয়াবাজারের রাস্তায় আসিলেন। তৎপরে সকলে একটা তেতাল। বাড়ীর নিকট উপস্থিত হইয়া দেখেন, অনেকগুলি লোক দাড়াইয়া কথোপকথন করিতেছে । পিতামহ বরুণকে কহিলেন *বরুণ ! এ বাড়ীটি কি ?” বরুণ । ইহার নাম আদি ব্রহ্মসমাজ। এই সমাজে নিরাকার ব্ৰহ্মোপাসনা হইয়া থাকে। এখানকার ব্রাহ্মদিগের পৈতা ফেলা অথবা স্ত্রীলোকদিগকে লইয়া উপাসন করার পদ্ধতি নাই। পিতামহ হাস্ত করিয়া কছিলেন, “জ্যা! এটা ব্রাহ্মমন্দির । বরুণ ! ভিতরে চল না।” বরুণ। এখন ভিতরে দেখিবার কিছু নাই । রজনীতে যখন আলো জালিয়া সভ্যগণ স্তব স্তোত্র এবং সঙ্গীতাদি করেন, সেই সময় সমাজগৃহে উপস্থিত থাকিলে মনোমধ্যে ধৰ্ম্মভাবের উদয় হয় । ব্ৰহ্মা। চল, না হয় শূন্ত গৃহটই দেখিয়া যাই । বরুণ তৎশ্রবণে দেবগণকে লইয়া ভিতরে প্রবেশ করিয়া উপরে উঠিলেন, এবং সমাজ-গৃহ দেখিয়া হর্ষ প্রকাশ করিতে লাগিলেন। বরুণ কহিলেন, “১৭৫০ শকে জোড়াসাঁকোর কমলবস্থর বাটতে প্রকাগুরূপে ব্রহ্মোপাসনার জন্য প্রথমে এই ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়। পর বৎসর এই আদি ব্রাহ্মসমাজ গৃহট নিৰ্ম্মিত হইলে সমাজ এখানে উঠিয়া আসিয়াছে।