\૭૭૭ দেবগণের মর্ত্যে আগমন প্রথম প্রথম এই ব্রাহ্মসমাজের বিপক্ষে রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুর প্রভৃতি অনেক হিন্দু দণ্ডায়মান হইয়াছিলেন এবং প্রতিদ্বন্দ্বী ধৰ্ম্মসভা নামে একটী সভাও সংস্থাপন করিয়াছিলেন। কিন্তু তাহাতে ব্রাহ্মসমাজের কিছুমাত্র ক্ষতি করিতে পারেন নাই । ১৮৩০ খৃষ্টাব্দে ব্রাহ্মধৰ্ম্ম সংস্থাপক রাজা রামমোহন রায় বিলাত যাত্রা করিলে সভার বিশেষ ক্ষতি ও দুরবস্থা হইয়াছিল। কিন্তু দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এই ধৰ্ম্মে যোগদান করা পর্য্যস্ত ইহার বিলক্ষণ উন্নতি হইয়াছে । এই সভা হইতে তত্ত্ববোধিনী নামক একখানি পত্রিকা বাহির হইলে ব্রাহ্মধৰ্ম্ম সাধারণের বিশেষরূপে বিদিত হইয় পড়ে। পরিশেষে বাৰু কেশবচন্দ্র সেন এই ধৰ্ম্মে যোগদান করিলে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের গৌরবের বিশেষ বৃদ্ধি হয়। এই ব্রাহ্মসমাজ হইতে দেশের অনেক উপকার সাধিত হইয়াছে। বিশেষতঃ এই ধৰ্ম্ম হিন্দু সন্তানকে খৃষ্ট ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিবার পথ হইতে একপ্রকার ফিরাইয়া আনিয়াছে।” ব্ৰহ্মা। এ ধৰ্ম্মকে আমি মন্দ বলি না ; তবে, পৈতা ফেল৷ প্রভৃতি বাড়াবাড়িগুলো শুনিলে ঘৃণার উদ্রেক হইয়া থাকে। । ইন্দ্র । বরুণ ! ও প্রতিমূৰ্ত্তি কাহার ? বরুণ। রাজা রামমোহন রায়ের । ব্ৰহ্ম। আমাকে সংক্ষেপে রাজ রামমোহন রায়ের জীবনবৃত্তান্ত বল । বরুণ। ইনি ১৭৭২ খৃষ্টাব্দে বর্তমান হুগলী জেলার অন্তঃপাতী রাধানগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । ইহঁার পিতার নাম wরাধাকান্ত রায় । ইনি প্রথমে বাঙ্গালী ভাষা শিক্ষা করিয়া পাটনায় যাইয়। আরবী ও পারসী ভাষা শিক্ষা করেন। সেখান হইতে বারাণসীতে যাইয়া সংস্কৃত অধ্যয়ন করেন। প্রত্যাগমন করিয়া “হিন্দুদিগের পৌত্তলিক ধৰ্ম্মপ্রণালী” নামক একখানি পুস্তক লেখেন। তাহার পিতা ইহাতে তাহাকে বাট হইতে বহিস্কৃত করিয়া দিলে তিনি ভারতের নানা স্থানে পরিভ্রমণ করেন এবং অবশেষে তিববত দেশে যাইয়া ব্রাহ্মধৰ্ম্মের উপদেশ দেন। তৎপরে চারি
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৮৭৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।