কলিকাতা ৬৬৭ বৎসর দেশ ভ্রমণ করিয়া বাড়ীতে প্রত্যাগত হন। ইনি ২২ বৎসর বয়ঃক্রমকালে ইংরাজী অধ্যয়ন করিতে আরম্ভ করেন এবং অচিরাৎ ঐ ভাষায় বিলক্ষণ বুৎপত্তি লাভ করেন। ইহার পর সংসারভার নিজ স্কন্ধে পড়ায় ইনি রঙ্গপুরের কালেক্টরিতে একটী কৰ্ম্মে নিযুক্ত হন এবং সত্বরেই সেরেস্তাদারি পদ প্রাপ্ত হন। ইহার কিছুদিন পরে তিনি কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া মুরশীদাবাদে গমন করেন এবং তথায় “পৌত্তলিকতা সকল ধৰ্ম্মের বিরুদ্ধ” নামক একখানি পুস্তক পারস্ত ভাষায় প্রণয়ন করেন। ১৮২৪ খৃষ্টাব্দে তথা হইতে কলিকাতায় আসেন এবং এই স্থানে সৰ্ব্বদ ব্রাহ্মধৰ্ম্মেরই আলোচনা করিতে থাকেন । এই সময় অনেকগুলি বিদ্বান ও বুদ্ধিমান লোক আসিয়া তাহার দলভুক্ত হইয়া ব্রাহ্মধৰ্ম্মের উন্নতি চেষ্টা করেন। এই সময় অর্থাৎ ১২৩৪ সালে ( ১৮২৭ খৃষ্টাব্দে ) কলিকাতার কমল বাবুর বাটতে একটা ব্রাহ্মসমাজ স্থাপিত হয়। রামমোহন রায় সহমরণ প্রথা উঠাইয়া দিবার প্রস্তাব করায় ১৮২৯ খৃষ্টকে রাজপ্রতিনিধি লর্ডবেটিৰ দ্বারা তাহ রহিত হয়। ১২৩৭ সালে (১৮৩০ অব্দে ) দিল্লীর সম্রাটু ইহঁাকে রাজ উপাধি প্রদান করিয়া নিজের কোন কার্য্যোপলক্ষে বিলাতে পাঠান । তথায় যাইয়া ইহঁার অনেক বড় বড় সাহেবের সহিত আলাপ হয় এবং তিনি যথেষ্ট প্রতিপত্তি লাভ করেন । সেখান হইতে তিনি ফ্রান্সে যাত্রা করেন এবং তথা হইতে ইংলণ্ডে প্রত্যাগমন করিয়া ব্রিষ্টল দর্শনে গমন করিলে ঐ স্থানে তাহার পীড়া হওয়ায় ১৮৩১ অব্দের ২৭এ সেপ্টেম্বর প্রাণত্যাগ করেন। ১২৫০ সালে (১৮৪৩ খৃষ্টাব্দে) দ্বারকানাথ ঠাকুর বিলাত যাত্রা করিয়া রামমোহন রায়ের কবরের উপর একটা সুন্দর স্বরণস্তম্ভ নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছিলেন । ইনি প্রায় ৭৮ প্রকার ভাষা শিক্ষা করিয়াছিলেন ; তন্মধ্যে কয়েকট ভাষাতে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের কয়েকখানি পুস্তকও রচনা করেন । ইহঁার দ্বারা বাঙ্গালা গদ্য লিখনারম্ভ হয় । ১৮১৪ সালে ইনি সাধারণের বোধ জন্ত
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৮৭৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।