৬৭২ দেবগণের মর্ত্যে আগমন নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন। বাট নিৰ্ম্মাণসময়ে তাহার উৎকট পীড়া হওয়ায় স্থান পরিবর্তনের জন্য পশ্চিমে যান, তথায় তাহার মৃত্যু হয়। নূতন বাড়ীতে বাস করা তাহার ভাগ্যে ঘটে নাই । ব্ৰহ্মা । আহা! সখ ক’রে কোন বস্তু প্রস্তুত করিয়া ভোগ করিতে ন পাওয়া বড়ই দুঃখের বিষয়। তুমি এই মল্পিকদিগের বিষয় বল। বরুণ। ইহারা জাতিতে স্বরর্ণবণিক। আদি বাস সপ্তগ্রাম। জয়রাম মল্লিক বগীদিগের ভয়ে প্রথমে আসিয়া কলিকাতায় বাস করেন। ইহার পুত্রদের নাম পদ্মলোচন। পদ্মলোচনের পৌত্রের নাম শুামসুন্দর মল্লিক। ইহঁর দুই পুত্ৰ—রামকৃষ্ণ ও গঙ্গাবিষ্ণু মল্লিক। ইহঁার ব্যবসা করিতেন। বাঙ্গাল, বেহার, সিঙ্গাপুর, চীন প্রভৃতি দেশে ইহঁাদের বাণিজ্যাগার ছিল। ইছারা অত্যন্ত দাতাও ছিলেন । ধৰ্ম্মশালা স্থাপন করিয়া শত শত অতিথিকে আহার দিতেন। এবং স্বজাতীয় দীন দুঃখীকে ভরণ পোষণ করিতেন। রোগীদিগকে ঔষধ বিতরণ করিতেন । ১৭৭০ সালের মন্বস্তরের সময় ইহঁারা আটটী অন্নছত্র খুলিয়া অকাতরে দরিদ্রদিগকে অন্নদান করিয়াছিলেন। বৃন্দাবনে ইহাদের একটা ছত্র আছে। । ১৭৪৪ সালে গঙ্গাবিষ্ণু মল্লিকের মৃত্যু হয়। ইহঁার পুত্রের নাম নীলমণি মল্লিক। রামকৃষ্ণ মল্লিকের ১৮০৩ সালে মৃত্যু হয় । ইহঁার দুই পুত্র, বৈষ্ণবদাস মল্লিক ও সনাতন মল্লিক। নীলমণি মল্লিক অত্যন্ত ধাৰ্ম্মিক ও দাতা ছিলেন । ইনি চোরবাগানের জগন্নাথজীউর ঠাকুরবাড়ী অতিথিশালা স্থাপন করিয়াছিলেন। রথের সময় বিস্তর টাকা ব্যয় করিতেন । ইনি পুরীর যাত্র দিগকে পথে জলবৃষ্টিতে কষ্ট পাইতে দেখিয়া রাস্তার মধ্যে মধ্যে গৃহ নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছিলেন এবং ঐ যাত্রীদিগকে আঠার নালার পারাণীর পয়সা যাহাতে না দিতে হয়, তজ্জন্ত বিস্তর টাকা কালেক্টরিতে প্রদান করিয়াছিলেন । ইনি লীক্ষেত্রে একটী নাটমন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়া দেন এবং
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৮৮৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।