-૭૧૭ দেবগণের মর্ত্যে আগমন তাহার বাসস্থান লওয়ায় পাথুরেঘাটায় আসিয়া বাস করেন। ইহার দ্বিতীয় পুত্রের নাম দর্পনারায়ণ । ইনি বাণিজ্য করিয়া ও ফরাসী গবর্ণমেণ্টের অধীনে কৰ্ম্ম করিয়া যথেষ্ট বিষয় করেন। ইহার দুই পরিবার। প্রথমার গর্ভে রাধামোহন, গোপীমোহন, কৃষ্ণমোহন, হরিমোহন, প্যারীমোহন পাচ পুত্র জন্মগ্রহণ করেন এবং দ্বিতীয়ার গর্ভে লাদলিমোহন ও মোহিনীমোহন জন্মগ্রহণ করেন। গোপীমোহনের পাচ পুত্র, তন্মধ্যে হরকুমার ও প্রসন্নকুমার বিখ্যাত । মহারাজা যতীন্দ্রমোহন ঠাকুর ও রাজা সেীরেন্দ্রমোহন ঠাকুর হরকুমার ঠাকুরের পুত্র । গোপীমোহন ঠাকুর বাড়ীতে সমারোহের সহিত দুর্গোৎসব করিতেন এবং লাট সাহেব পৰ্য্যন্ত নিমন্ত্রণে আসিতেন। ইনি কুস্তিওয়াল রাধী গোয়ালী, লক্ষ্মীকান্ত বেহালাদার ও কালোয়াত কালী মির্জাকে বেতন দিয়া রাথিয়াছিলেন । এই মহাত্মা কৰ্ম্মচারীদিগের প্রতি অত্যন্ত সদয় ছিলেন । এমন কি ইহার দেওয়ান গোদলপাড়ার রামমোহন মুখোপাধ্যায়কে এক খানি উচ্চ আয়ের জমীদারী প্রদান করেন—ঘাহা উক্ত মুখোপাধ্যায়ের পৌত্র গোপালচন্দ্র অদ্যাপি লোগ করিতেছেন। গোপীমোহন ঠাকুর মূলাযোড়ে দ্বাদশশিবমন্দির ও এক কালীমূৰ্ত্তি স্থাপন করেন। ইহঁার পাচ পুত্র--সূৰ্য্যকুমার, চন্দ্রকুমার, নন্দকুমার, কালীকুমার, হরকুমার এবং প্রসন্নকুমার । হরকুমার ঠাকুর অত্যন্ত সংস্কৃতজ্ঞ ও হিন্দু ছিলেন । ইনি দাক্ষিণাত্য পৰ্য্যটন, হরতত্ত্বদাধিতী, পুরশ্চরণ পদ্ধতি প্রভৃতি কয়েকখানি পুস্তক প্রণয়ন করেন। ১৮৫৮ সালে ইহঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে মহারাজা যতীন্দ্রমোহন ঠাকুর ও রাজা সেীরেন্দ্রমোহন ঠাকুর নামক দুই পুত্র রাখিয়া যান। ব্ৰহ্মা। আমাকে তুমি যতীন্দ্রমোহনের জীবন বৃত্তান্ত বল । বরুণ। ইনি ১৮৩১ খৃষ্টাব্দে জন্ম গ্রহণ করেন । ইহঁার পিতার নাম ৮ হরকুমার ঠাকুর । ইনি প্রথমে হিন্দু কলেজে বিদ্যাভ্যাস করেন ও ছাত্রবৃত্তি
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৮৮৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।