Wob-o দেবগণের মর্ত্যে আগমন লোকের স্তব করা ও মিষ্ট কথায় তাহাদিগকে সন্তুষ্ট রাখা। ইহারা বাৰু স্তায় অন্তায় যাহা বলেন, তাহার ভাল মন্দ বিচার না করিয়া “আন্দ্রে” “যে আজ্ঞে” শব্দে সায় দেয়। এই “আঞ্জে” “যে আঞ্জে” কথা ছুটী মোসাহেবেরা সৰ্ব্বদ ব্যবহার করে এবং ভালরূপ অভ্যস্ত করিয়ু রাখে । মোসাহেবদের কার্য্য প্রত্যহ বাবুর শয্যাত্যাগের পূৰ্ব্বে এবং অপরাষ্ট্রে তাহার বৈঠকখানায় আসিবার অগ্রে ঘাইয়া আসর সরগরম করিয়া বসিয়া থাকা এবং বাবু আসিলে গাত্ৰোখান করিয়া অভ্যর্থনা করা ; মোসাহেবের বাবু ই চলে “জীব” বলে এবং হাই তুলিলে তুড়ি দেয়। বাবু চলিতে পাছে কষ্ট পান, এজন্ত প্রস্রাব করিতে যাইবার সময় “আপনি বসুন, আমি আপনার হয়ে যাচ্চি” ব’লে মন যোগাইয়া থাকে এবং তামাক চাহিলে পাছে তাহার তামাক চাহিতে গলা ভাঙ্গে এই আশঙ্কায় তাহারী চতুৰ্দ্দিকৃ হইতে “তামাক দেৱে” বলিয়া নিজের গলা ভাঙ্গিয় ফেলে। ইহারা ধনী লোকের বাস্তু ঘুঘু যে বাড়ীতে ইহাদের যাতায়াত হয়, সেখানে ঘুঘু না চরায়ে ছাড়ে না। বাবুর স্ত্রীলোক আবশুক হইলে তাহাও আনিয়া দেয় । এখান হইতে যাইয়া প্রসন্নকুমার ঠাকুরের বাড়ীর নিকট উপস্থিত হইলে পিতামহ কহিলেন, “বরুণ ! এ বাড়ীটি কাহার ?” বরুণ । এ বাড়ীটি প্রসন্নকুমার ঠাকুরের। বাড়ীর সম্মুখে তাহার বৈঠকখানা বাড়ী। ঐ বৈঠকখানায় জমীদারী সংক্রান্ত কাজ কৰ্ম্ম হইয়। থাকে। তিনি মৃত্যুকালে যাবতীয় বিষয় নিজ পুত্র জ্ঞানেন্দ্রমোহনকে না দিয়া ভ্রাতু-পুত্র মহারাজ যতীন্দ্রমোহন ঠাকুরকে দান করিয়া যান । ইন্দ্র। পুত্রকে বিষয়ের উত্তরাধিকারী না করিবার কারণ কি ? বরুণ। কারণ জ্ঞানেন্দ্রমোহন পিতার অনভিমতে খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মাবলম্বী কৃষ্ণবন্দ্যোর কন্যার পাণিগ্রহণ করিয়াছিলেন । এই কাবণে পিতা পুত্রের উপর এতদুর অসন্তুষ্ট হইয়াছিলেন যে, মৃত্যুর পূৰ্ব্বে জ্ঞানেজমোহন আসিয়া
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৮৯২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।