পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭ નજી দেবগণের মত্ত্যে আগমন কাব্য, বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রে, মেঘনাদবধ কাব্য, ব্রজাঙ্গন কাব্য, কৃষ্ণকুমারী নাটক এবং বীরাঙ্গন কাব্য প্রণয়ন করেন। ১৮৩২ সালে ইনি পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের যত্বে বিলাতে আইন শিক্ষা করিতে যান। তথায় ইন চতুর্দশপদী কবিতাবলী রচনা করেন। ইনি জীবনের শেষ দশাতে হেক্টর বধ নামক একখানি গদ্য গ্রন্থ রচনা করিয়াছিলেন । ১৮৩৭ খ্ৰীঃ অবো মধুসূদনের মৃত্যু হইয়াছে। অর্থাভাবে ইহঁার আলিপুর দাতব্য চিকিৎসালয়ে মৃত্যু হয়। কথা কহিতে কহিতে দেবগণ বাসায় আসিয়া শয়ন করিলেন । তৎপর দিন উঠিতে র্তাহাদিগের কিছু বিলম্ব হইল। যখন সকলে উঠিয়া মুখ হাত ধৌত করিতেছেন, তখন পিতামহ কহিলেন, “বরুণ । ঢোলকের বাদ্য বাজে কোথায় ?” বরুণ। বারোইয়ারিতলায় বোধ হয় যাত্রা হইতেছে, শুনিতে যাইবেন ? ব্ৰহ্মা। হানি কি ? মর্ত্যে আর কিছু থাকু না থাকৃ, রং তামাসা বিলক্ষণ আছে। নারায়ণ চল, গান শুনে আসি । নারা । আমি আর যাব না, আপনার যান। ইন্দ্র । তুমি যাবে না কেন ? নারা। গিয়ে কি ক’রবে ? হয়ত গিয়ে দেখুবো কতকগুলো ছেলেকে কৃষ্ণ রাধিক সাজাইয়ে ননী মাখন চুরী করাইতেছে। বরুণ। না—না—আধুনিক দলে ওসব নাই । নারা। যে দলটার গান হ’চ্ছে, আধুনিক কি সাবেক—তুমি কেমন ক’রে জানলে ? বরুণ। সাবেক হইলে ঢোলের শব্দের পরিবর্তে খোল করতালের খচামচ শব্দ হইত । নারা । তবে চল । সকলে যাত্রা শুনিতে যাইয়া দেখেন—আসরট যাত্রার দলেই পরিপূর্ণ।