দেবগণের মর্ত্যে আগমন سb-bنة ' এখান হইতে যাইয়া সকলে সিমলার বাজারের মধ্যে প্রবেশ করিয়া দেখেন, নানাপ্রকার ফল মূল এবং দোকানে উৎকৃষ্ট উৎকৃষ্ট বস্ত্রাদি বিক্রয় হইতেছে । বরুণ কহিলেন, “সিমলার ধুতি বড় বিখ্যাত, সে ধুতি এই বাজারেই পাওয়া যায় ।” সিমলার বাজার দেখিয়া সকলে একট গির্জার সন্নিকটে উপস্থিত হইলে নারায়ণ কহিলেন, “বরুণ ! এ গির্জাট কাহার ?” বরুণ । ডাক্তার কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের । ইন্দ্র। বন্দ্যোপাধ্যায়ের গির্জা ? বরুণ ! কৃষ্ণবন্দ্যোর জীবনচরিত বল । বরুণ। ইনি ১৮১৩ অবো কলিকাতায় জন্মগ্রহণ করেন ; ইহঁার পিতার নাম জীবনকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় । ইনি হেয়ার স্কুলে পাঠ করিয়াছিলেন । তৎপরে ১৮২৪ অব্দে হিন্দু কলেজে ভৰ্ত্তি হন। ১৮২৯ অব্দে বিদ্যালয় পরিত্যাগ করিয়া হেয়ার স্কুলে শিক্ষকতার কার্যা করেন। এই সময় ইনি এনকোয়ারার নামক একখানি সংবাদপত্রের সম্পাদক হন । ১৮৩২ অবেদ ইনি খৃষ্টধৰ্ম্মের দীক্ষা গ্রহণ করেন এবং ১৮৩৭ অন্ধে ধৰ্ম্মযাজকের পদে প্রতিষ্ঠিত হন । ১৮৩২ অব্দে ইনি গবর্ণমেণ্টের সাহায্যে সৰ্ব্বার্থসংগ্ৰহ নামক গ্রন্থপ্রচার করেন । ১৮৫২ অব্দে ইনি বিশপ কলেজের অধ্যাপক হন এবং ১৮৬৮ অবেী কৰ্ম্ম হইতে অবসর লন । ১৮৬১ অব্দে ইনি ষড় দর্শন সংগ্রহ এবং ১৮৬৫ অব্দে এরিয়ান উইটনেস নামক গ্রন্থ প্রকাশ করেন। ইনি সংস্কৃত রঘুবংশ, কুমারসম্ভব, ভটিকাব্য এবং ঋগ্বেদ সংহিতার টীকা করিয়া মূলের সহিত প্রকাশ করিয়াছেন। এতদ্ব্যতীত ইহার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনেক গ্রন্থ আছে। বাঙ্গালীর মধ্যে ইনি একজন উৎকৃষ্ট ইংরাজী লেখক । ইনি ব্রিটিশ ইণ্ডিয়ান সভার একজন সভ্য ছিলেন। ১৮৫১ অক্যে বেথুন সভা স্থাপিত হইলে ইনি প্রথমে তাহার সভ্য এবং তৎপরে সহকারী সভাপতির পদে নিযুক্ত হন। হেয়ার সাহেবের স্মরণার্থ যখন যে সভা হইয়াছিল, ইনি প্রত্যেক সভাতেই যোগদান করিয়াছিলেন। ১৮৫৮
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯০২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।