কলিকাতা \ebూసి অব্দে ইনি বিশ্ববিদ্যালয় সভার সভাপতি ছিলেন । ১৮৭৬ অব্দে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হইতে ডাক্তার ইন্ ল উপাধি প্রাপ্ত হন । এই বৎসর ইনি কলিকাতা মিউনিসিপালিটীর একজন সভ্য নিযুক্ত হইয়াছিলেন । ইনি ১৫১৬ বৎসর বয়ঃক্রমকালে বিবাহ করেন। খৃষ্টধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইবার পর স্ত্রীকে সুন্দররাপে লেখা পড়া শিখাইয়াছিলেন। এক্ষণে ইহঁার কয়েকটা কল্প বালিকাবিদ্যালয়ের পরিদর্শিক পদে নিযুক্ত আছেন। ব্ৰহ্মা । বরুণ, সম্মুখে যে চক্ষুরোগের চিকিৎসালয় দেখা যাইতেছে, ঐ স্থানে আমাকে নিয়ে চল না। বরুণ। কেন ? ব্ৰহ্মা। একবার চক্ষু দুইটা দেখাইব ; কলিকাতায় আসিয়া পৰ্য্যন্ত যেন বেশী বেশী ঝাপূসা বোধ হইতেছে। ও ডাক্তারটা কেমন এবং উইার নাম কি ? বরুণ। উহার নাম কৃষ্ণহরি ভট্টাচাৰ্য্য । বাড়ী স্বরে নামক স্থানে । ইনি পাথুরিয়া ঘাটার জমীদার গিরীন্দ্রচন্দ্র ঘোষ ও পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অনুগ্রহে কলিকাতা সংস্কৃত কলেজে সন্মান ও বৃত্তি সহকারে উচ্চ শিক্ষা সমাপন করিয়া চারি বৎসর কাল মেডিকেল কলেজের চক্ষু হাসপাতালে কেরাণীগিরি কৰ্ম্ম করেন। এই সময় হইতেই ইনি ডাক্তার কেলি সাহেবের অনুগ্রহে লোকের বাটীতে চিকিৎসা করিয়া থাকেন । ইহঁার প্রণীত কয়েকখানি ডাক্তারি পুস্তক আছে—তন্মধ্যে চক্ষু চিকিৎসা পুস্তকখানি নেটিভ ডাক্তারদিগের পাঠ্য। কলিকাতায় বাঙ্গালী চক্ষু চিকিৎসকদিগের মধ্যে নীলমাধব হালদার, লালমাধব মুখোপাধ্যায় ও কৃষ্ণহরি ভট্টাচাৰ্য্য বিখ্যাত। পদ্মযোনি উপ’র হস্তস্থিত একখানি পুস্তকের প্রতি লক্ষ্য করিয়া বলিলেন “ও পুস্তকখানার নাম কি ?” বরুণ । টেকচাদ ঠাকুর প্রণীত “আলালের ঘরের দুলাল।" টেকচাদ ঠাকুরের প্রকৃত নাম প্যারীচঁাদ মিত্র ।
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯০৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।