やなb" দেবগণের মর্ত্যে আগমন বেতনে বেঙ্গল ব্যাঙ্কে একটা কেরাণীগিরি কৰ্ম্ম লন। কিন্তু হস্তাক্ষর স্বন্দর থাকায় অল্প দিন মধ্যে পঞ্চাশ টাকা পৰ্য্যস্ত বৃদ্ধি হইয়াছিল। এই সময় ইনি ইয়ং বেঙ্গল নামে একখানি পুস্তক প্রচার করেন। ইহার পর ইনি ব্রাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার জন্য বোম্বাই ও মাত্রাজ যাত্রা করিয়াছিলেন । নি জাতিভেদ স্বীকার করেন না বিধবা ও অসবর্ণ বিবাহ প্রচলন, ব্রান্ধিক সভা সংস্থাপন প্রভৃতি অনেকগুলি নুতন নুতন কাজ করিয়াছেন। ১৮৬১ অবো ইনি ধৰ্ম্ম প্রচার ব্রতে ব্ৰতী হইয়। ব্যাঙ্কের কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করেন। এই সময় ব্রাহ্মদলের মধ্যে মতভেদ উপস্থিত হইয়া গুহবিচ্ছেদের সুত্রপাত হয় । ১৭৮৬ শকে ধৰ্ম্মতত্ত্ব পত্রিকা প্রচার হইতে আরম্ভ হয়। এই সময় ইনি ইণ্ডিয়ান মিরারের সম্পাদক হইয়াছিলেন । ১৭৮৮ শকে সাধারণ ব্রাহ্মদিগের এক প্রকাশু সভা করিয়া ভারতবর্ষীয় ব্ৰাহ্মসমাজ সংস্থাপন করেন এবং ইহার কিছুদিন পরে সশিষ্য সিমলা যান। সিমলায় লর্ড লরেন্স ইহঁাকে সমাদরের সহিত অভ্যর্থনা করিয়াছিলেন । এই স্থানে ইনি বিধবা বিবাহ বিধিবদ্ধ করিবার প্রস্তাব করেন । সিমলা হইতে প্রত্যাগমন সময় মুঙ্গেরে আসিয়া কিছু দিন অবস্থিতি করিয়াছিলেন। ঐ স্থানের ব্রাহ্মেরা ইহঁাকে অসঙ্গত ভক্তি দেখায় এবং ইনিও তাহাতে বাধা না দেওয়ায় অনেকের মনে সংস্কার জন্মিয়াছিল যে, কেশব বাবু অবতার হইবার চেষ্টা করিতেছেন। ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ অনেক দিন পর্য্যন্ত র্তাহার গৃহে তইত, তৎপরে ১৭৯১ শকে এই ব্রাহ্মমন্দির প্রতিষ্ঠা হইলে উঠিয়া আইসে। ঐ সালে কেশব বাবু বিলাতে যাত্রা করেন। বিলাতে ইনি যথেষ্ট সমাদর প্রাপ্ত হইয়াছিলেন এবং তথাকার লোকে ইহঁার বক্তৃতায় যথেষ্ট প্রশংসা করিয়াছিলেন । ইনি তথায় ভারতবর্ষীয়ের প্রতি ইংলণ্ডের কৰ্ত্তব্য বিষয় একটা চমৎকার বক্তৃত করেন। ঐ বক্তৃতায় সেখানকার অনেক ইংরাজ রাজপুরুষ চটিয়াছিলেন। কুমারী কলেট নামক এক রমণী ইহঁার ইংলণ্ডের বক্তৃত সকল পুস্তকাকারে প্রচার করিয়াছিলেন । ইনি বিলাত হইতে প্রত্যাগমন করিয়া ভারতসংস্কারক সভা
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯১৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।