পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা ఇeరి কিরূপ প্রজাপীড়ন করে তাহ রাজপুরুষদিগের গোচর করাইবার অভিপ্রায়ে উক্ত পুস্তক ইংরাজীতে অনুবাদ করিয়া প্রচার করেন। ইহাতে ইংলিসম্যান সম্পাদক আপনাদিগের খাতিলোপকর পুস্তক মুদ্রিত করিয়াছে বলিয়া মুদ্রাকরের বিরুদ্ধে কলিকাতা সুপ্রীমকোর্টে অভিযোগ করেন। ইহাতে ১৮৬১ অব্দের জুলাই মাসে মহাত্মা লং সাহেবের এক মাস কারাবাস এবং হাজার টাকা অর্থদণ্ড হয়। ঐ টাকা ৮ কালীপ্রসন্ন সিংহ মহাশয় তৎক্ষণাৎ দিয়াছিলেন, লং সাহেবকে দিতে হয় নাই । লং সাহেবের কারাবাস হইলে বাঙ্গালামাত্রেই দুঃখিত হইয়াছিলেন ।” “দেবরাজ ! ও দিকে দেখ মিউনিসিপাল হাসপাতাল । কলিকাতায় যত পাহারাওয়ালা আছে এবং মিউনিসিপালিটীর সামান্ত সামান্ত কৰ্ম্মচারী আছে, পীড়িত হইলে এই স্থানে চিকিৎসা করা হয় ।” এখান হইতে কিছু দূর যাইলে নারায়ণ কহিলেন, “বরুণ! ওদিকের ওটা কি ?” 毫 বরুণ উছার নাম পপার এস ইলম বা আস্হাউস। এই স্থানে গরীব দুঃখী সাহেব—যাহাদিগের ভরণ পোষণের কোন উপায় নাই—নাম লেখাইয়া বাস করে। গবর্ণমেণ্ট তাহাদিগকে আহার দিয়া নানাপ্রকার কাজকৰ্ম্ম করাইয়া লন। উহার ও দিকে ঐ যে বড় বাড়ী দেখা যাইতেছে, ঐখানে লেপার এসাইলম ছিল । মহাব্যাধি-রোগগ্ৰস্ত লোকদিগকে ঐ স্থানে রাখিয়া চিকিৎসা করা এবং পথ্যাদি দেওয়া হইত। ঐ এসাইলমটী সুপ্রসিদ্ধ দ্বার কানাথ ঠাকুরের অর্থে সংস্থাপিত হইয়াছিল । ব্ৰহ্ম ৷ দীনদুঃখীকে ঔষধ ও পথ প্রদান ত সহজ পুণ্য নহে । বরুণ, তুমি আমাকে দ্বারকানাথ ঠাকুরের জীবনচরিত বল । বরুণ । ইনি ১২০১ সালে জন্মগ্রহণ করেন ; ইনি ইহঁর পিতৃব্য রামলোচন ঠাকুরের পোষ্যপুত্র। সিরবোরণ সাহেবের স্কুলে সামান্ত ইংরাজী শিক্ষা করিয়া শেষে নিজের বুদ্ধিবলে শাস্ত্রাদির আলোচনা করিয়া যথেষ্ট উন্নতি