কলিকাতা a oGo ও ঠাকুরদাস চক্রবর্তী প্রভৃতি কয়েক জন সন্ত্রান্ত লোকের যত্নে ট্রেণিং স্কুল নাম দিয়া সংস্থাপিত হয় । ক্রমে ম্যানেজারদিগের মতের অনৈক্য হওয়ায় বিদ্যালয়ট দুই ভাগে বিভক্ত হইয়াছে। এক ভাগের নাম মেট্ৰপলিটন ইন্ষ্টিউসন—ইহার তত্ত্বাবধান-ভার বিদ্যাসাগর মহাশয়ের উপর ছিল । অপর ভাগের নাম ট্রেণিং একাডেমি—ঐ অংশের ঠাকুরদাস চক্রবর্তী তত্ত্বাবধান করিতেন । এই সময়ে কুঁকড়ে ডাকার শব্দ শুনিয়া পিতামহ কহিলেন, “কলিকাতার মুসলমানপাড়ায় এলাম নাকি ?” বরুণ । আজ্ঞে না, রমাপ্রসাদ রায়ের বাটীর নিকট আসিয়াছি । রমপ্রসাদ রায়ের পুত্র হরিমোহন রায় বড় ব্যবসাদার লোক ; কুঁকড়োগুলোর বেশী বাচ্ছা হয়, এজন্ত কুঁকড়ে পুষিলে লাভ হইবার আশায় তিনি অসংখ্য কুঁকড়ো পুষিয়াছেন । এই দেখুন বাবুর কসাই কালী, তাহার পর রয়াল হোটেলে একজন চাচা কুঁকড়ো জবাই করিতেছে। তাহার পর সঙ্গীন পাহারা বাবুর বাট । ও দিকে দেখুন, বাবু দোকান ঘরে বসিয়া সটকায় তামাক থাইতেছেন । নারা। বাবুর আশে পাশে বিস্তর বাকড় চুলে ছেলে বসে, উহার কারা ? বরুণ। বাবুর একটী যাত্রার দল আছে ; ছেলেগুলো সেই দলের বালক । এখান হইতে দেবগণ একখানি ছেকৃড়া গাড়ী ভাড়া করিয়া একেবারে নিমতলায় যাইয়া উপস্থিত হইলেন । ইন্দ্র। বরুণ ! এ স্থানের নাম কি ? বরুণ। এ স্থানের নাম নিমতলা । ও দিকের ঐ সামান্ত বাটতে আনন্দময়ী নামে কালীমূৰ্ত্তি আছেন। ঐ গৃহে ছুটী কুঠারি আছে, কুঠারিদ্বয়ের মধ্য দিয়া একটী নিমগাছ উঠায় এ স্থানের নাম নিমতলা হইয়াছে।
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯২৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।