কলিকাতা 영e মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করিয়াছিল ; কিন্তু সুপ্রসিদ্ধ রামগোপাল ঘোষের বক্তৃতার চোটে হইতে পায় নাই।” ব্ৰহ্মা । কলে মড়া পোড়ান প্রচলিত হইলে বড় অন্তায় হইত। রামগোপাল ঘোষের বক্তৃতা-শক্তিকে ধন্যবাদ করি । তুমি আমাকে তাহার বিষয় কিছু শ্রবণ করাও । বরুণ । ইনি জাতিতে কায়স্থ । ১২২১ সালে কলিকাতায় ইহঁার জন্ম হয় । পিতার নাম গোবিন্দচন্দ্র ঘোষ । প্রথমে ইনি সিরবোরণ সাহেবের স্কুলে, পরে হিন্দুস্কুলে বিদ্যা শিক্ষা করেন। বিদ্যালয় পরিত্যাগের পর একজন ইংরাজ সদাগরের কুঠিতে কৰ্ম্মে নিযুক্ত হন এবং ক্রমে ক্রমে ঐ সদাগরের মুচ্ছদি পৰ্য্যন্ত হইয়াছিলেন । এই সময় ইনি স্থানে স্থানে বক্তৃতা করিয়া সদ্বক্তা বলিয়া প্রসিদ্ধ হন এবং সংবাদপত্রে রাজনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ের আন্দোলন করিতে থাকেন। ইনি ইংরাজ বণিকৃদিগকে সন্তুষ্ট করিয়া শেষে অংশীদার হন এবং নিজ নামে কুঠি করেন। ১২৫২ সালে ইনি বণিকূ-সভার সভ্য হইয়াছিলেন । ইহঁার দানও যথেষ্ট ছিল। ইনি একবার নির্দিষ্ট পরীক্ষোৰ্ত্তীর্ণ ছাত্রগণকে হাজার টাকার পারিতোষিক দিয়াছিলেন এবং মাসমান সাহেবের ভারতবর্ষের ইতিহাস এক শত থও ক্রয় করিয়া বালকদিগকে বিতরণ করিয়াছিলেন ; তদ্ভিন্ন হিন্দু কলেজে ছাত্রদিগকে বৎসর বৎসর বহুসংখ্যক সোণা রূপার পদক দিতেন । ইহঁাকে কলিকাতার ছোট আদালতের জজের পদ দিবার প্রস্তাব হইলে অস্বীকার করেন। ১২৫৫ সালে ইনি কলিকাতার ডিষ্ট্রক্ট দাতব্য চিকিৎসালয়ের মেম্বর হইয়াছিলেন। ১২৭৫ সালে ইহঁার মৃত্যুকালে ইনি তিন লক্ষ টাকার বিষয় রাখিয়া যান, তন্মধ্যে বিশ হাজার টাকা ডিষ্ট্রক্ট দাতব্য চিকিৎসালয়ে এবং চল্লিশ হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ে দান করেন। বন্ধুগণের নিকট ইহঁার যে চল্লিশ হাজার টাকা পাওনা ছিল—তাহ এককালে ছাড়িয়া দেন । ব্ৰহ্মা । আহা ! ইনি যথার্থ দাতা ছিলেন ।
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯২৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।