পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭১২ দেবগণের মর্ত্যে আগমন প্রস্তাব হইলে ইনি ঐ পদ গ্রহণে অনিচ্ছা প্রকাশ করিয়া বলেন “কোন বিশেষ কার্য্যে নিযুক্ত হওয়া অপেক্ষ আমি প্রকৃত স্বদেশানুরাগীর স্থায় দেশের সাধারণ হিতকর কাৰ্য্যে আজীবন নিযুক্ত থাকিতে ইচ্ছা করি।” ইহঁার মৃত্যুতে দেশের বিশেষ ক্ষতি হইয়াছে। ব্ৰহ্মা । সাধু! সাধু ! ইন্দ্র। দেখ বরুণ ! এপ্রকার মহাত্মাদিগের জীবনচরিত গুনিলে মনে বড় আহলাদ হয় ,তুমি হরিশ্চন্দ্র মুখোপাধ্যায়েরও জীবনচরিত বল । বরুণ। ইনি ১২৩১ সালে ইংরাজী ১৮২৪ খৃষ্টাব্দে ভবানীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ইনি কুলীন ব্রাহ্মণের পুত্র । এজন্ত মাতুলালয়ে ইহঁার জন্ম হয় এবং সেই স্থানেই প্রতিপালিত হন । বাল্যকালে ভবানীপুরের একটা ইংরাজী বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন এবং বিদ্যালয় পরিত্যাগের পর কোন আফিসে আট টাকা বেতনে একটী কৰ্ম্ম পান এবং কাৰ্য্যদক্ষতাগুণে এক বৎসর পরে ঐ আফিসে এক শত টাকা বেতন বৃদ্ধি হয়। ক্রমে ইনি মিলিটারি অডিটের সন্মানসূচক পদ পর্য্যস্ত প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। “হিন্দু ইণ্টেলিজেন্সর” নামক একখানি সাপ্তাহিক পত্রে ইনি রীতিমত লিখিতেন। কিন্তু সম্পাদকের সহিত বিবিধ কারণে বিবাদ হওয়ায় ঐ পত্রে লেখা বন্ধ করেন। ইহার পর পেটিয়ট পত্রের স্বষ্টি হইলে তাহাতে লিখিতে আরম্ভ করেন । কিন্তু সম্পাদকের ক্ষতি হওয়ায় তিনি কাগজের সত্ব হরিশ বাবুকে বিক্রয় করিয়াছিলেন । হরিশবাবুর যত্নে এই কাগজের যথেষ্ট আয় হয় এবং ইহা দেশবিখ্যাত হইয়া উঠে । সিপাহী বিদ্রোতের সময় যখন রাজপুরুষের সন্দেহ করেন যে, বাঙ্গালীরাও রাজবিদ্রোহী হইয়াছে, তখন শুদ্ধ এই হরিশ বাবুর লেখায় তাহারা জানিতে পারেন যে, বাঙ্গালীর দ্যায় রাজভক্ত জাতি দ্বিতীয় নাই। ইনি ভবানীপুরে একটী সভা করিয়াছিলেন । ঐ সভায় কঠিন শাস্ত্র সকলের আন্দোলন হইত। নীলকর সাহেবদিগের অত্যাচার হরিশ বাবুই নিজ পত্রে লিথিয় গবর্ণমেণ্টের কর্ণগোচর করেন