কলিকাতা ৭১৩ এবং এই উপলক্ষে যথেষ্ট কষ্ট স্বীকার ও অর্থ ব্যয় করেন। ইনি ব্রিটিশ ইণ্ডিয়ান সভার একজন সভ্য ছিলেন । ইনিই ঐ সভা স্থাপনের প্রধান উদ্যোগী। ভারতবাসীর দুঃখ ইংলওঁীয় মহাসভার গোচর করা এই সভার প্রধান উদ্দেশু। ১২৬৪ সালের ১১ই আষাঢ় ইহঁার মৃত্যু হয়। নারায়ণ এই সময় কহিলেন, “দেখ বরুণ, আমার শরীর এমন পাণ্ডুবর্ণ হইল কেন ? মুখ দিয়ে অনবরত জল উঠিতেছে, ইহার কারণ কি ?” বরুণ । তোমার লোণ লাগিয়াছে। লোণা লাগার কথা শুনিয়া দেবগণ শঙ্কিত হইয়া বরুণের মুখের দিকে চাহিতে লাগিলেন । পিতামহ কহিলেন “স্ল্যা ! লোণ লেগেছে ? লোণা লাগা কি ? লোণা লাগাতে প্রাণহানি হয় না ত ?” বরুণ । না—উহাতে কোন ভয় নাই, স্বর্গ মিঠে দেশ এবং কলিকাতা লোণ দেশ, এজন্তই লোণ লাগিয়াছে। ইন্দ্র। আমারও লোণ লেগেচে, এক্ষণে ইহার ঔষধ কি ? বরুণ। ঔষধ—শীঘ্র পলায়ন কর, নচেৎ যত গ্রীষ্ম বাড়িবে, লোণ৷ লাগাও তত বৃদ্ধি হইতে থাকিবে । - ব্ৰহ্মা। বরুণ! তুমি যত সত্বর পার, কলিকাতা দেখাইয়া আমাদিগকে স্বৰ্গে লইয়া চল । আহারান্তে নারায়ণ ও দেবরাজ বিমৰ্ষভাবে শয়ন করিলেন দেখিয়৷ পিতামহ কহিলেন “তোমরা উদ্বিগ্ন হইও না, কোন পীড়া হইলে চিন্তা করিলে রোগের শান্তি না হইয়া বৃদ্ধি হইবারই সম্ভাবনা । তোমাদের ভয় কি ? স্বর্গে যাইলে ধন্বন্তরি দুই দিনে ভাল করিয়া দিবেন। উপ । ক্ত একখানি বাঙ্গালা পুস্তক পাঠ কর শোনা যাক ” উপ তৎশ্রবণে পদ্মিনীর উপাখ্যান পাঠ করিতে আরম্ভ করিলে, পিতামহ কহিলেন, “এ কেতাবখানা লিখছে ভাল, বরুণ ! এ গ্রন্থকারের নাম কি ?” বরুণ ৷ ইহঁার নাম রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় । ইনি ১৮৪৮ অবেী
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯৩৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।