কলিকাতা ^(t মৃত্যু হয়, সুতরাং "স্বধীরঞ্জন” ব্যতীত আর পুস্তক লিখিতে পারেন নাই । অপরাহুে দেবগণ নগর ভ্রমণে বাহির হইবার সময় উপকে ডাকিলেন । উপ কহিল “আপনার যান—আমি আজ যাব না, বড় হাত পা কামড়াচ্চে ” পিতামহ তৎশ্রবণে তাহাকে যাইতে নিষেধ করিয়া সকলে হাটখোলায় যাইয়া উপস্থিত হইলেন। র্তাহার এই স্থানে উপস্থিত হইয়া যে দিকে চাহেন, দেখেন কোন গদীতে চাউলের যেন পাহাড় সাজান রহিয়াছে। কোন গদীতে গম ও অন্তান্ত শস্ত সকল স্ত,পাকার হইয়। রছিয়াছে। কোন কোন গদীতে ঘৃত, চিনি, লবণ, পাট ঠাস রহিয়াছে। ছোট ছোট দোকানও বিস্তর রহিয়াছে। বরুণ কহিলেন “এই স্থানের নাম হাটখোলা । এখানে চাউল, ধান, গম, তুলা, ঘৃত, চিনি, লবণ, পাট, পেয়াজ, রগুন, লঙ্কা, হলুদ প্রভৃতির বিস্তর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দোকান আছে । এই স্থানে অনেক ধনী মহাজনের উক্ত দ্রব্য সকলের আড়ত ও গদী আছে। উক্ত মহাজনদিগের মধ্যে অধিকাংশই পূৰ্ব্বদেশী বাঙ্গাল । কোন দ্রব্যাদি এখানে চালান দিলে আড়তদারেরা ক্রয় করিয়া তৎক্ষণাৎটাকা দেয়।” এখান হইতে দেবগণ হাটখোলার দত্তবাড়ী দেখিতে যান এবং তথায় উপস্থিত হইয়া পিতামহ কহিলেন, “বরুণ! দত্তদিগের বিষয় বল ।” বরুণ। ইহঁাদের আদি বাস বালীতে । দিল্লীর সম্রাটের নিকট কলিকাতায় জায়গীর প্রাপ্ত হওয়ায় ইহারা এই স্থানে আসিয়া বাস করেন। এই বংশে মদনমোহন দত্ত জন্মগ্রহণ করেন । ইনি সুপ্রসিদ্ধ জমাদার ও সওদাগর ছিলেন ; ইহারই দ্বারায় রামদুলাল দে অতুল ঐশ্বৰ্য্যের অধিকারী হন। মদনমোহন অত্যন্ত দয়ালু দাতা ও ধাৰ্ষিক ছিলেন । ইনি বিপুল অর্থ ব্যয়ে গয়ার প্রেতশিলায় উঠিবার সিডি প্রস্তুত করিয়া দিয়াছিলেন । জগৎরাম দত্ত নামক এই বংশের অপর এক ব্যক্তি ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯৩৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।