পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন -שמף কলিকাতায় একটি দরবার করেন এবং কলিকাতাস্থ যাবতীয় ইংরাজকে নিমন্ত্ৰণ করিয়া আনিয়া নবকৃষ্ণকে একটা স্বর্ণপদক, মূল্যবান পরিচ্ছদ, তরবারি এবং বহুমূল্য রত্ন প্রদান করিয়াছিলেন । নবকৃষ্ণের উপর মুন্সীর দপ্তর ব্যতীত আরজবেগী দপ্তর, জাতিমালা কাছারি, ধনাগার, ২৪ পরগণার লাল আদালত ও তত্বশীল দপ্তরের ভার ছিল । নবকৃষ্ণের ধন ও মানসন্ত্রম বৃদ্ধি দেখিয়া তাহার কতিপয় শক্র ১৭৬৭ খৃষ্টাব্দে তাহার নামে উৎকোচ গ্রহণের মিথ্যা অভিযোগ উপস্থিত করে, কিন্তু বিচারে ইনি নির্দোষী সপ্রমাণ হওয়ায় শত্রুদিগের দও হয় । ১৭৭৮ অব্দে হেষ্টিং সাহেব নবকৃষ্ণকে নপাড়া প্রভৃতি গ্রামের বিনিময়ে স্থতামুটীর তালুকদারী প্রদান করেন । ইন্দ্র। ঐ স্থানের নাম সুতানুটী হয় কেন ? বরুণ। বড়বাজারের শেঠ ও বসাকের কলিকাতার আদি অধিবাসী । ইহঁারা হোগলাবন কৰ্ত্তন করিয়া বাস করায় ইহঁাদিগকে জঙ্গলকাটা বাসিন্দা কহে । ইহঁার জাতিতে তত্ত্ববায় ; ইহঁাদের স্থতার কুটী হাটখোলা প্রভৃতি স্থানে রৌদ্রে শুকাইত, এজষ্ঠ ঐ স্থানের নাম সুতানুটী হয়। ব্ৰহ্মা । তার পর—নবকৃষ্ণের বিষয় বল । বরুণ। ১৭৭০ অঙ্গে নবকৃষ্ণ বদ্ধমানের নাবালক রাজা কুমার তেজচন্দ্র বাহাদুরের অছি নিযুক্ত হন। নবকৃষ্ণ গোড়া হিন্দু ছিলেন। তিনি বৎসর বৎসর বাটীতে দুর্গোৎসব করিয়া দীন দুঃখীকে অকাতরে অল্প বস্ত্র দান করিতেন। তদ্ভিন্ন নগরস্থ হিন্দু, মুসলমান, ইংরাজ, ম্বিহুদি প্রভৃতিকেও নিমন্ত্ৰণ করিয়া আনিয়া ভোজ দিতেন। এই উৎসব উপলক্ষে লাট সাহেব ও প্রধান প্রধান রাজপুরুষেরা ইহঁার বাটতে আসিতেন। ইনি স্বভবনে গোপীনাথ ও গোবিন্দজী নামক ছুইটী দেবমূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন। ইনি দোলযাত্রা, জন্মাষ্টমী ও চড়কের সময়েও বিস্তর অর্থ ব্যয় করিতেন । এই সমস্ত কাৰ্য্য র্তাহার উত্তরাধিকারীরাও অদ্যাপি করিয়৷