পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা “సి থাকেন। ইহঁার পুত্র না হওয়ায় অগ্রজের তৃতীয় পুত্র গোপীমোহনয়ে দত্তক গ্রহণ করেন। নবকৃষ্ণ মাতৃশ্ৰাদ্ধে অতি সমারোহ করিয়াছিলেন। এমন কি বাঙ্গালীদিগের জন্য বাজারে চাউল, গাছে পাতা এবং ক্ষেত্রে তরকারি ছিল না এবং কুমারটুলিতে হাড়ি কলসী পর্য্যন্ত পাইবার যে ছিল না। এই উপলক্ষে তাহার নয় লক্ষ টাকা ব্যয় হয়। অনেকে বলেন, শ্রাদ্ধোপলক্ষে নানা দেশ হইতে ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিত ও কাঙ্গালীগণ আগমন করাতে স্থানটীর চমৎকার শোভা হয়। তাহাতেই শোভাবাজার নাম হইয়াছে। ১৭৮২ অবো নবকৃষ্ণের চতুর্থ স্ত্রীর গর্ভে একটী পুত্র জন্মে। তাহার নাম রাজকৃষ্ণ বাহাদুর । পুত্র হইলে নবকৃষ্ণের আহুলাদের পরিসীম। ছিল না। তিনি এতদুপলক্ষে প্রজাদিগের বাকী খাজানা রহিত করেন। ইহার দুই বৎসর পরে অর্থাৎ ১৭৮৩ অন্ধে নবকৃষ্ণের দত্তক পুত্র গোপীমোহনের এক পুত্র সস্তান জন্মে ; ইনিই মহাত্ম রাধাকান্ত দেব বাহাদুর। সুবিখ্যাত “শব্দকল্পদ্রুম” লিখিয়া ইনি চিরস্মরণীয় হইয়াছেন । ১৭৯৪ অব্দের নবেম্বর মাসে ৬৫ বৎসর বয়ঃক্রম কালে নবকৃষ্ণের মৃত্যু হয় । পুত্রাভিলাষে ইনি সাত বিবাহ করেন ; তন্মধ্যে প্রথম স্ত্রীর গর্ভে এক কল্প এবং চতুর্থ স্ত্রীর গর্ভে এক পুত্র ও দুই কন্ডার জন্ম হয়। ইনি বেহাল হইতে কুল্পী পৰ্য্যন্ত ১৬ ক্রোশ দীর্ঘ “রাজার জাঙ্গাল” নামে একটা রাস্ত করিয়া দেন। শুনিতে পাওয়া যায়, হেষ্টিং সাহেব তিন লক্ষ টাকা ইহঁার নিকট হইতে ঋণ গ্রহণ করেন, তাহা আর পরিশোধ করেন নাই ; ইনিও ঐ টাকা লইবার অভিলাষ জানান নাই । কলিকাতা চিৎপুর রোড হইতে অপার সারকুলার রোড পৰ্য্যন্ত একটী রাস্ত প্রভত করিয়া দিয়৷ নিজের নামানুসারে উহার নাম রাজা নবকৃষ্ণের লেন রাখেন। এক্ষণে কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট হইয়াছে । ইনি বাগবাজার ও কুমারটুলির লোকের স্নানের জন্ত দুটা ইষ্টকনির্মিত ঘাট প্রস্তুত করিয়া দেন এবং শেষোক্ত স্থানে ইহঁার প্রথম স্ত্রী গঙ্গাযাত্রীদিগের বাসার্থ একটী অট্টালিকা প্রস্তুত