ԳՀ օ দেবগণের মর্ত্যে আগমন করান। “ পোর্ট কমিশনারের অনুগ্রহে এই বাড়ী এক্ষণে ভাঙ্গিয়৷ গিয়াছে। ব্ৰহ্মা । বরুণ ! তুমি রাজা রাধাকান্ত দেবের জীবনচরিত বল । বরুণ । ইনি ১১৯১ সালে জন্মগ্রহণ করেন । ইহঁার পিতার নাম গোপীমোহন দেব । এই গোপীমোহন দেবের সঙ্গীতে বিলক্ষণ অনুরাগ ছিল। ইহঁারই যত্নে হাফ আখড়াই স্বষ্টি হয় । ইনিও একজন গোড়। হিন্দু ছিলেন । যখন সতীদাহ নিবারণ বিষয়ে রামমোহন রায় ও দ্বারকানাথ ঠাকুর প্রভৃতি চেষ্টা করেন, তখন ইনি ধৰ্ম্মসভার অধ্যক্ষ হইয়া অনেক প্রতিবাদ করিয়াছিলেন । ১২৪০ সালে ইহার মৃত্যু হয়। রাধাকান্ত দেব বাটীতে সংস্কৃত পণ্ডিতের নিকট সংস্কৃত ভাষা শিক্ষণ করেন । ইনি একজন উৎকৃষ্ট রাজনীতিজ্ঞ ছিলেন । এই মহাত্মা নানা বিদ্যায় বিভূষিত হইয়াও সাহেব সাজেন নাই ; হিন্দুধৰ্ম্মে ইহঁার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল এবং এই ধৰ্ম্মেরই আলোচনা করিতে ভাল বাসিতেন । ইহঁার পরামর্শে হিন্দুর মেডিকেল কলেজে পুত্রগণকে পড়িতে দেন ; তৎপূৰ্ব্বে সকলের মনে বিশ্বাস ছিল, ছেলেরা খ্ৰীষ্টানী পুস্তক পড়িয়া খ্ৰীষ্টান হইয়া যাইবে । রাধাকান্ত দেব প্রথমে ইংরাজী পুস্তকের অনুকরণে বাঙ্গালী বর্ণপরিচয় ও নীতিকথা নামে ক্ষুদ্র গ্রন্থ রচনা করেন । এতদ্ভিন্ন আরও কতকগুলি পুস্তক রচনা করিয়াছিলেন । ১২২৯ সালে সুবিখ্যাত শব্দকল্পক্রম প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হয় । ইনি স্ত্রীশিক্ষারও যথেষ্ট উৎসাহ প্রদান করিতেন । ১২৪২ সালে ইনি গবর্ণমেণ্ট হইতে কলিকাতার জষ্টিস অব, দি পিস্ এবং অবৈতনিক মাজিষ্ট্রেটের পদ প্রাপ্ত হন । ইনি স্কুলবুক সোসাইট নামক সভার সেক্রেটরি ছিলেন । কৃষি ও উদ্যান কার্য্যের উন্নতি করিবার জন্ত যে রাজকীয় সভা আছে, তাহার ইনি সভাপতি ছিলেন। তদ্ভিন্ন ইনি ব্রিটিশ ইণ্ডিয়ান এসোসিমেসনের সভাপতি থাকেন এবং লাখরাজ বাজেয়াপ্ত ...করিবার জম্ভ স্বয়ং উদ্যোগী হইয় এক সভা করেন। ১২৭৩ সালে ইনি
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯৪২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।