পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা ఇచ్చి9 এখান হইতে দেবতার কালীকৃষ্ণ ঠাকুরের বাড়ীর সম্মুখে উপস্থিত হইলে পিতামহ কহিলেন “বরুণ ! এ স্বন্দর বাড়ীটি কাহার ” বরুণ। ইহা কালীকৃষ্ণ ঠাকুরের বাড়ী। বাড়ীর সন্মুখে ইহার কাছারী বাড়ী । ইনি কলিকাতার মধ্যে একজন বিখ্যাত ধনী ও দাতা । ইনি সৎকার্য্যে বিস্তর দান করিয়া থাকেন। এখান হইতে যাইতে যাইতে বরুণ কহিলেন “সম্মুখে বীরুমল্লিকের বাড়ী । বাড়ীর সম্মুখে আস্তাবল । আস্তাবলের উপর উহার বৈঠকখানা এবং উহার পাশ্বে প্রমোদকানন নামে একটা উদ্যান । ঐ উদ্যানের মধ্যে নানাপ্রকার পুষ্পবৃক্ষ শোভা করিতেছে । ওদিকে দেখা যাইতেছে, রমানাথ ঠাকুরের বাড়ী। রমানাথ ঠাকুর একজন প্রকৃত স্বদেশহিতৈষী লোক ছিলেন।” ব্ৰহ্মা। তুমি রমানাথ ঠাকুরের জীবনচরিত বল । বরুণ। ইনি ১৮৩০ অব্দে জন্মগ্রহণ করেন। ঐ সময় কলিকাতায় বিষ্ঠাশিক্ষোপযোগী কোন বিদ্যালয় না থাকায় ইনি সারবর৭ সাহেবের স্কুলে সামান্তমাত্র বিদ্যাশিক্ষা করিয়াছিলেন ; কিন্তু ঘরে শিক্ষক রাখিয়া নিজের মেধাবলে বাঙ্গালা, ইংরাজী ও সংস্কৃত বিদ্যায় যথেষ্ট উন্নতি করিয়াছিলেন । ইনি কিছু দিন ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের দেওয়ান হন। রাজা রামমোহন রায়ের বিলাত যাত্রার পর ইনি ব্রাহ্ম সমাজের একজন ট্রষ্টি নিযুক্ত হইয়াছিলেন। ইনি প্রজার পক্ষ হইয়া গবৰ্ণমেণ্টের সহিত বাদামুবাদ করিতেন এবং ভূম্যধিকারী দিগের সভার একজন সভ্য ছিলেন। সভা উঠিয়া যাইলে ইহার উৎসাহে ও উদ্যোগে ব্রিটিশ ইণ্ডিয়ান সভা সংস্থাপিত হয়। রমানাথ ঠাকুর প্রথমে এই সভার সহকারী সম্পাদক এবং তৎপরে সম্পাদকের পদ প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। ইনি স্বদেশীয়দিগের বিদ্যাশিক্ষার উন্নতির জন্ত বিশেষ চেষ্টা করিতেন। ইনি হিন্দুস্কুলের সম্পাদক ও শিক্ষাবিভাগের সদস্ত ছিলেন। রমানাথ ঠাকুর কলিকাতার প্রত্যেক সভার এবং মিউনিসিপালিটির প্রত্যেক