ԳՀՑ দেবগণের মর্ত্যে আগমন অধিবেশনে যোগদান করিয়া সাধারণের উন্নতি পক্ষে যত্ন করিতেন । ১৮৫৯ অব্দে রেণ্টবিল সম্বন্ধে যে আন্দোলন হয়, ইনি তৎসম্বন্ধে একখানি ক্ষুদ্র পুস্তক প্রচার করিয়া ঐ বিলের দোষ দেখাইয়াছিলেন। ইনি বাঙ্গাল লেজিসলেটিভ কাউন্সেলে উপস্থিত হইয়া প্রধান প্রধান বিষয় লইয়। তর্ক করিতেন । ব্রিটিশ ইণ্ডিয়ান সভায় ইহঁরই পরামর্শ মত কাৰ্য্য করা হইত। ইনি অতি সদ্বক্তা ছিলেন, প্রত্যেক বিষয়েই বক্তৃতা দ্বারা নিজ মত বাহাল রাথিতেন । সাধারণ হিতকর কার্য্যে দান করা ইহার যেন ব্ৰতস্বরূপ ছিল । ইনি দেশের লোকের অভাব ও দুঃখ সুন্দরব্রুপে বুঝিতে পারিতেন এবং দুঃখ দূর করিবার সাধ্যমত চেষ্টা করিতেন। রমানাথ ঠাকুর রাজা প্রজায় কিরূপ ব্যবহার করা উচিত, তাহাও বিলক্ষণ জানিতেন । লর্ড নর্থব্রুক ইহাকে রাজা ও ষ্টার অফ ইণ্ডিয়া উপাধি প্রদান করেন এবং দিল্লীর দরবারে লর্ড লিটন ইহঁাকে মহারাজা উপাধি দেন । ইহঁার দ্যায় সম্মান লাভ কোন বাঙ্গালীর ভাগ্যে ঘটে নাই । এই মহাত্মা,১৮৭৭ অব্দের জুন মাসে কলেবর পরিত্যাগ করিয়াছেন । এখান হইতে যাইয়া বরুণ কহিলেন, “পিতামহ ! সম্মুখে শিবকৃষ্ণ দার বাড়া দেখুন। ইনি দুর্গোৎসবের সময় অতি সমারোহের সহিত পূজা করিয়া থাকেন। প্রতিমার সাজ জৰ্ম্মণী হইতে আমদানী করা হয় এবং তাহাতে প্রায় তিন হাজার টাকা ব্যয় হুইয়া থাকে।” নার। ওদিকের ও বাড়ীটি কাহার ? বরুণ। মহাত্ম৷ কালীপ্রসল্প সিংহের । ইনি কলিকাতায় জন্মগ্রহণ করেন । পিতার নাম নন্দলাল সিংহ । ইনি সপ্তদশ বর্ষ বয়ঃক্রমকালে ংস্কৃত বিক্রমোর্কশী নাটক বাঙ্গালী ভাষায় অম্বুবাদ করিয়াছিলেন । ইহঁর হুতোম পেচার নক্সা রচনা করিয়া বঙ্গভাষায় এক নুতন রকমের রচনা দেখান। ইনি দুই লক্ষ টাকা ব্যয়ে সংস্কৃত মূল মহাভারত উৎকৃষ্ট গোঁড়ায় সাধুভাষায় অনুবাদ করিয়া বিনা মুল্যে বিতরণ করেন। মহাভারত ইহঁার
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯৪৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।