পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা ৭২৭ গোবিন্দ পাল ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে কালীঘাটের মন্দিরের সন্নিকটস্থ রাস্ত পাথরের করিয়া দেন । এই মহাত্মা ২৪ হাজার টাকা ব্যয়ে খড়দায় স্নানের ঘাট প্রস্তুত করিয়া দিয়াছিলেন । বরুণ কহিলেন, “ওদিকে দেখা যাইতেছে জীশ বিদ্যারত্বের বাড়ী। ইনি বিখ্যাত কথক রামধন শিরোমণির পুত্র। ইহঁর জন্মভূমি খাটুর গ্রামে। ইনি কলিকাতা সংস্কৃত কলেজে অধ্যয়ন করেন এবং সৰ্ব্বোচ্চ শ্রেণী পর্য্যস্ত সংস্কৃত শিক্ষা করিয়া পারিতোষিক প্রাপ্ত হন । বিদ্যাসাগর যখন বিধবাবিবাহ দিবার জন্ত উদ্যোগী হন, সেই সময় ঐশ বিস্তারত্বের স্ত্রী মরিয়া যাওয়ায় বালিকা বিবাহ করা অপেক্ষ যুবতী দেখিয়া একটী বিধবা বিবাহ করিয়া ফেলিলেন । ইহঁার বিবাহে বেশ সমারোহ হইয়াছিল ; অনেক অধ্যাপক নিমন্ত্ৰণ করিয়াছিলেন ; তদ্ভিন্ন বঙ্গদেশের ছোট লাট পৰ্য্যস্ত বিবাহসভায় উপস্থিত হইয়াছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় ১০ হাজার টাকা এই বিবাহে ব্যয় করেন। ঐশ সংস্কৃত কলেজ পরিত্যাগের পর কিছু দিন জজ পণ্ডিতের কাজ করিলে ডেপুটী মাজিষ্ট্রেটের পদ পান। তিনি ৩০ বৎসর ঐ কাজ করিয়া পেন্সন লন । পেন্সন লওয়ার অল্পকাল পরে তাহার পক্ষাঘাত রোগ হয় ও তাহাতেই মৃত্যু হয়। এখান হইতে সকলে শুামবাজারের অভিমুখে চলিলেন । যাইতে যাইতে বরুণ বলিলেন—“পিতামহ, হোগলকুঁড়ের গুহদের বাড়ী দেখুন।” ব্ৰহ্মা । ইহঁদের বিষয় বল । বরুণ। ইহঁারা জাতিতে কায়স্থ। প্রায় ১২৫ বৎসর হইল কলিকাতায় বাস করিতেছেন। শিবচন্দ্র গুহ হইতে এই বংশ উজ্জল হইয়াছে। ইনি ১৭৯৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন । পিতার নাম ব্ৰজনাথ গুহ । পিতার অবস্থা নিতান্ত ভাল না থাকায় শিবচন্দ্র ১৪ বৎসর বয়ঃক্রমকালে একটী ইংরাজ সদাগরের আফিসে কেরাণীগিরি কৰ্ম্ম করিতে আরম্ভ করেন । ইহার পর ইনি বেনিয়ানের কাজ করেন। তৎপরে স্বয়ং ব্যবসা আরম্ভ