কলিকাতা ԳՀ:Տ বীরভূমের রাধাবল্লভজী ইহারই প্রতিষ্ঠিত। ইনি কাশীতে অনেক মন্দির ও শিব স্থাপন করেন, গয়ায় রামশিলার পাহাড়ে উঠবার সিড়ি প্রস্তুত করিয়া দেন । এই মহাত্মা ঐক্ষেত্রের যাত্রীদিগকে রৌদ্রে কষ্টভোগ করিতে ও পিপাসায় কাতর হইতে দেখিয়া কটক হইতে পুরী পর্য্যস্তু বিশ ক্রোশ রাস্তার উভয় পার্শ্বে আম্রবৃক্ষ রোপণ করিয়া দিয়াছেন । যাত্রীরা উচ্চার তলে বসিয়া আম্র খাইয়া পিপাসা নিবারণ করিয়া থাকে । ইনি পুরীর জগন্নাথের মন্দিরের প্রবেশপথের নিকট প্রকাও সরোবর খনন করিয়া দিয়াছেন । ৭৪ বৎসর বয়সে ইহার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে মদনগোপাল ও গুরুপ্রসাদ বসু নামক দুই পুত্র রাখিয়া যান । দেবগণ এখান হইতে গোবিন্দরাম মিত্রের বাড়ী দেখিতে যাইলেন এবং তথায় উপস্থিত হইয়া ব্রহ্মা কহিলেন, “বরুণ ! গোবিন্দরাম মিত্রের বিষয় আমাকে বল ।” বরুণ ৷ হইরে পিতার নাম রত্নেশ্বর মিত্র । ইহারা ১৬৮৬ সালে কলিকাতায় আসিয়া বাস করেন। গবর্ণর জব চার্ণক গোবিন্দরামকে ইংরাজা বাঙ্গাল ও সংস্কৃত ভাষায় পারদর্শী দেখিয়া ইষ্টইণ্ডিয়া কোম্পানীর অধীনে কৰ্ম্ম দেন । ১৭৫৬ খৃঃ অব্দে পলাশী যুদ্ধের পর গোধিন্দরাম ইষ্টইণ্ডিয়া কোম্পানীর অধীনে ডেপুটী ফৌজদারীপদ প্রাপ্ত হন । সার গবর্ণর হলওয়েল সাঙ্গেৰ অন্ধকূপহুতার পর হইতে ইহঁাকে “ব্ল্যাক ডেপুট” বণিয়া ডাকিতেন । ইনি অত্যন্ত হিন্দু ছিলেন। চিৎপুর রোডের ধারে ইহঁ্যর প্রতিষ্ঠিত নবরত্ন অদ্যপি বর্তমান আছে । গোবিন্দরামের রাস্ত বড় বিখ্যাত । অদ্যাপি চলিত কথায় লোকে বলিয়া থাকে — গোবিন্দরামের চেড়ি । ( ১ । বনমালী সরকারের বাড়া । ( ২ ) ( ১ ) রাস্ত । ( ২ ) বৃহৎ লাড়ী ছিল ।
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯৫১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।