পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা כסף কুমারটুলির বোলেদের বাড়ী বিবাহ করেন এবং ঐ স্থত্রেই কলিকাতায় বাস হয় । বেণীমাধব ফার্গুসন কোম্পানীর বাড়ী চাকরী করিয়া অতুল ঐশ্বৰ্য্য করেন। ইহার পুত্রের নাম বাবু বরদাচরণ মিত্র বি, এ। ইহার কন্যাকে কলিকাতার রেজিষ্ট্রার বাবু প্রতাপচন্দ্র ঘোষ বিবাহ করিয়াছেন। ক্রমে একস্থানে যাইয়া দেবগণ দেখেন, শত শত রোগী ঔষধ লইয়া বাহির হইতেছে। তদৃষ্টে পিতামহ কহিলেন, “এটা কবিরাজ-বাড়ী বলিয়া বোধ হইতেছে। বরুণ, এই কবিরাজ-বংশের বিষয় বল ।” বরুণ। ইহার পূর্ববঙ্গের বৈদ্য কবিরাজ । এই বংশের সুবিখ্যাত কবিরাজ নীলাম্বর সেন প্রথমে কলিকাতার কুমারটুলিতে আসিয়া বাস করেন। ইনি সুচিকিৎসা-গুণে ধন্বস্তরি নামে প্রসিদ্ধ হন । ইহার জ্যেষ্ঠ পুত্র গঙ্গাপ্রসাদও কলিকাতার মধ্যে একজন বিখ্যাত কবিরাজ । ইনি প্রত্যহ শত শত রোগীকে বিনামূল্যে মহামূল্য ঔষধ দান, বিস্তর ছাত্রকে আহার ও বিদ্যা দান করিতেন। ১৮৭৭ সালের কলিকাতা দরবারে ইনি গবর্ণমেন্ট হইতে প্রশংসাপত্র প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। ইহার কনিষ্ঠ ভ্রাতা দুর্গাপ্রসাদ সেন ও অন্নদাপ্রসাদ সেনও বিদ্ধান্‌ সুচিকিৎসক। অন্নদাপ্রসাদ হোগলকুঁড়েয় থাকিয়া চিকিৎসা করেন । এই বংশের কালীপ্রসন্ন সেন “চক্রদত্ত” প্রভৃতি পুস্তক বাঙ্গালায় অনুবাদ করিয়াছিলেন । ইহঁাদের ঢাকা জেলায় জমাদারী ও কলিকাতায় অনেকগুলি ভাড়াটে বাড়ী আছে । সন্ধা হইতেই দেবগণ বাসায় আসিলেন এবং পরদিন প্রাতে উঠিয়া কালীঘাট দর্শনে চলিলেন এবং সকলে যাইয়া ধৰ্ম্মতলায় ট্রামগাড়ীতে উঠিলেন। ট্রামগাড়ী ভবানীপুরে উপস্থিত হইলে বরুণ বলিলেন, “পিতামহ, এই ভবানীপুরে হাইকোর্টের জজ শম্ভুনাথ পণ্ডিত বাস করিতেন।” ব্ৰহ্মা। বরুণ, আমাকে শম্ভুনাথ পণ্ডিতের বিষয় বল । বরুণ । ইনি ১২২৬ সালে কলিকাতায় জন্মগ্রহণ করেন । ইহার