কলিকাতা ৭৩৩ ইহঁার গুণের কথা গবর্ণমেণ্টের কানে উঠিলে প্রথমে ইনি জুনিয়ার উকীল ও তৎপরে কৃষ্ণকিশোর ঘোষ পদত্যাগ করিলে সিনিয়র উকীল হন। ১৮৭৯ অব্দে ইনি বাঙ্গালী লেজিসলেটিভ কাউন্সেলের মেম্বর হইয়াছিলেন । ইহার পর ইনি হাইকোর্টের প্রতিনিধি জজের পদ প্রাপ্ত হন । কিন্তু ঐ কাজ করিতে করিতে ১৮৭১ সালের আগষ্ট মাসে ইহার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে বয়ঃক্রম ৪১ বৎসর মাত্র হইয়াছিল । দেবগণ ট্রামগাড়ি হইতে নামিলে কতকগুলি লোক নিকটে আসিয়া কঙ্গিল “মহাশয়ের কি কালীমাকে দর্শন করিবেন ?” ইন্দ্র । কেন, সে খোজে তোমাদের আবশুক কি ? লোক। আজ্ঞে, আমরা হালদার মহাশয়দের বাড়ী কাজ কৰ্ম্ম করি । সঙ্গে ক’রে নিয়ে গিয়ে ভাল ক’রে দর্শন করাব । বরুণ । তীর্থস্থানে তোমাদের মিথ্যা বলিবার আবগুক কি ? এসেছ দালালি ক’বৃতে যাত্রাদিগের নিকট হ’তে ফাকি দিয়ে পূজার পয়সা গ্রহণ করতে ; গলদারদের বাড়ী কাজ করি বলে কেন নরকে যেতে বসেছ ? তোমাদের এই জন্মে এই দশা, পেটেব জন্ত রাস্তায় রাস্তায় ঘুরিয়া লোক ধরিতেছ, একবার পরজন্মের ভাবনা ভাব । লোকগুলো চলিয়া বাইলে বরুণ দেবগণকে লইয়া বন জঙ্গলের মধ্য দিয়া কালীবাড়ার নিকট উপস্থিত হইলেন । র্তাহারা ষাইয়া দেখেন, মহাসমারোহ ব্যাপার । সারি সারি সনেদশের দোকান, ফলের দোকান, খেলানার দোকান। বিস্তর যাত্রী আসিতেছে ; কেহ রাস্তায়, কেহ দোকানে কেহ কালাবাড়ার দ্বারে ও গঙ্গামানের পথে দাড়াইয়া আছে । দোকানদারের সার্থক জন্মিয়াছে, দ্রব্যাদি বেচিয়া বিস্তর লাভ করিতেছে। যাত্রীদিগের পূজার দ্রব্য কম করিয়া দিয়া ঠকাইতেছে। আহা ! হতভাগার জানে না যে, এ ঠকান—যাত্ৰাদিগকে হইতেছে না, কালী মাকেই হইতেছে ।
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯৫৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।