পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালীঘাট দেবগণ বাটীর মধ্যে যাইয়া নাটমন্দিরের নিকট উপস্থিত হইলে পিতামহ কহিলেন, “মার এ দরজা এখনও খোলা হয় নাই কেন fo বরুণ। তাহা হইলে শীকার ফস্কাবে অর্থাৎ সকলে এক স্থান হইতে মাকে দেখিয়; পাণ্ডাদিগকে কলা দেখাইবে—এই আশঙ্কায় এ দ্বারট সহজে খোলে না। মন্দিরের ওধারে একটা ক্ষুদ্র দ্বার আছে, তাহার রক্ষক ৮১০ জন যমদূতের স্তায় ষণ্ড ষও ব্রাহ্মণ ; তাহাদিগকে টিকিট দিবার ন্তায় এক একট পয়সা দিয়া তবে মন্দির মধ্যে প্রবেশ পুৰ্ব্বক মাকে দেখিতে হয়। ব্ৰহ্মা । উঃ ! কলিতে দেখছি সকল বিষয়েই দোকানদারী। এক্ষণে পৃথিবীর ধ্বংস হওয়াই ভাল । আহ । দরিদ্র ব্যক্তিরা যে মাকে দর্শন করিয়া চরিতার্থ হইবে, তাহারও উপায় নাই। যাহোক, তাহারা মনে মনে মাকে দর্শন করিয়া-পয়সা দিয়া দর্শন করা অপেক্ষা অধিক পুণ্যলাভ করিতে পারে । দেবগণ মন্দিরের পশ্চাৎ ভাগদিয়া কালীমার গুপ্তদ্বারের নিকটস্থ রোয়াকে উঠিয়া দেখেন, একটা অলঙ্কারবিভূষিত যুবতী বলিয়া আছে, এবং বক্ষের কাপড় খুলিয়া বালিকাকে স্তনপান করাইতেছে। যাত্রিগণ সেই দিকে চাহিয়া আছে । নারায়ণও আড়চক্ষে সেই দিকে চাহিতে লাগিলেন । পিতামহ কহিলেন, “ম, বাড়ীর ভিতর যাও, তুমি ভদ্রলোকের বাড়ীর কুলবধু, তুমি এখানে কেন ?” স্ত্রী। আমার কি যাবার যে আছে, আমি বসে ব’সে পাহারা দিচ্ছি, নইলে ঐ দোরের মিন্সের দর্শনীর পয়সা চুরি ক’বে। ব্ৰহ্মা। এ কাজ তোমার স্বামীর করলে ভাল হয় না ? স্ত্রী । আহা ! মিন্সের কি মজার কথা ! স্বামী বাজার করতে যাবে না ?