পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালীঘাট භුවද পিতামহ স্ত্রীলোকটকে মুখরা দেখিয়া আর কোন কথা না বলিয়া বরুণকে কহিলেন, “বরুণ, কালীঘাটের উৎপত্তি বল।” বরুণ। দক্ষযজ্ঞে সতী প্রাণত্যাগ করিলে নারায়ণ যখন চক্রদ্বারা তাহার মৃতদেহ খণ্ড খণ্ড করেন, তখন দেবীর দক্ষিণাঙ্গুষ্ঠ এই কালীঘাটে পড়ায় এই কালী ও নকুলেশ্বর শিবের উৎপত্তি হয়। এই ঠাকুর বঁড়িষার সাৰণ চৌধুরীদিগের ছিল। পূৰ্ব্বে ইহঁর কিছুই আয় না থাকায় চৌধুরী মহাশয়ের কালীর পুজারি হালদারদিগকে দান করেন। এক্ষণে ইহঁার যথেষ্ট আয় হইয়াছে। এত আয় যে, হালদারদিগের রাবণবংশ মুখস্বচ্ছনো ও বাবুগিরির সহিত কাটাইতেছে এবং প্রত্যহ হাজার লোক ইহার দ্বারা প্রতিপালিত হইতেছে। ১২১৬ সালে কালীঘাটের এই মন্দির নিৰ্ম্মিত হয় । ইন্দ্র। হালদারদের কি উপায়ে লাভ হয় ? বরুণ। এক্ষণে হালদারদিগের বংশ বৃদ্ধি হওয়ায় দেবী সাধারণের ভাগে পড়িয়াছেন। কাহারও ভাগে একদিন, কাহারও ভাগে এক বেলা । এখানে প্রত্যহ শত শত রাজা, জমিদার, মায়ের পূজা দিতে আসে, এবং কেহ স্বর্ণের হাত, কেহ মুণ্ডমালা, কেহ মুকুট প্রভৃতি দিয়া পূজা দেয়। যাহার পালার সময় এই সমস্ত পূজা হয়, তিনিই উহা প্রাপ্ত হন। দেবগণ দ্বারে পয়সা দিয়া অতি কষ্টে ভিড় ঠেলিয়া মার নিকট যাইয়৷ দেখেন, তিনি র্কাদিতেছেন। ব্ৰহ্ম তস্কৃষ্টে কহিলেন, “মা ! তুমি কঁাচে ?” কালী । বাব, আমার কান্না বৈ আর কি আছে ? আমায় যে চুষে চুযে রক্ত থাচে । ব্ৰহ্মা । কে মা ? কালী। ছারপোকার বংশ । যখন প্রথম বাহির হই, তখন একটী . ছারপোকা ছিল, এখন পঙ্গপাল ! দেখ বাবা, এমন বংশবৃদ্ধি কখন দেখি নাই। ব্ৰহ্মা। হালদারের তোমার সহিত কেমন ব্যবহার করেন ?