ষ্টেশন ዓ8� আসিন্ধা হার উলে বিশ্রাম করিত। তাহার আমোদ করিয়া ঐ বৃক্ষতলকে বৈঠকখানা বলিত, তাহ হইতেই বৈঠকখানা নাম হইয়াছে। বৃক্ষটি ১৮৭০ অব পর্য্যস্ত ছিল । ১৬৯৮ অব্দে ইংরাজের ফোর্ট উইলিয়ম নামক এক দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করিতে ਜੋੜ নিকট অনুমতি পান। প্রায় ঐ সময়েই র্তাহারা সম্রাটু আজিম ওসমানের নিকট সুতানুটী, গোবিন্দপুর ও কলিকাতা ক্রয় করিয়া লন। ফোর্ট উইলিয়ম দুর্গ বর্তমান দুর্গ হইতে স্বতন্ত্র স্থানে ছিল । ঐ স্থানে অর্থাৎ ফেয়ারলিপ্লেসে এক্ষণে বর্তমান কাষ্টম হাউস প্রভৃতি অবস্থিত আছে। ১৭১৬ অব্দে রাইটাস্ বিলুডিংয়ের পশ্চিমে ইংরাজের প্রথম গির্জা নিৰ্ম্মাণ করেন। উহার চুড়া ১৭৩৭ সালের ঝড় ও ভূমিকম্পে ভাঙ্গিয়া যায়। তৎপরে সিরাজউদ্দৌলা কলিকাত আক্রমণ করিয়া উহাকে একেবারে ভূমিসাৎ করেন। এই সময় চাদপালের ঘাটের দক্ষিণে অত্যন্ত বন ছিল, এক্ষণে সেই স্থানে চৌরঙ্গী শোভা করিতেছে । ১৭২৭ অব্দের অক্টোবর মাসে ঝড়ে ও ভূমিকম্পে সেন্ট জনস চর্চের চূড়া ভাঙ্গে ও কলিকাতার প্রায় দুই শত গৃহ নষ্ট হয় এবং প্রায় ২০,০০০ ডিঙ্গ, নৌকা ও জাহাজ স্থান-ভ্রষ্ট হয়। ইংরাজদিগের নয় খানি জাহাজের মধ্যে আট খানি নষ্ট হয়। এই ঝড়ে ও ভূমিকম্পে প্রায় ৩০,••• লোক মারা যায়। ১৭৪০ সালে বঙ্গদেশে “বৰ্গীর হাঙ্গামা হয়। ১৭৫৬ অব্দে বিখ্যাত অন্ধকূপহত্য ঘটে ও কলিকাতা ইংরাজদিগের হাত ছাড়া হয়। ১৭৫৭ অব্দের ২রা জানুয়ারীর্তাহার কলিকাতা পুনরধিকার করেন। অন্ধকূপহত্যার স্মরণার্থ হল ওয়েল সাহেব ৫ ফুট উচ্চ একটি স্তম্ভ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। ঐ স্তম্ভ লালদিঘীর উত্তর-পশ্চিম কোণে ছিল,১৮১০ অব্দে মাকুইস অব হেষ্টিংস্সাহেবের আদেশে ভাঙ্গিয় ফেলা হয়। ১৭৫৭ অব্দে ইংরাজের পলাশী যুদ্ধে জয় লাভ করেন এবং সিরাজউদৌলাকে রাজ্যচু্যত করিয়া মিরজাফরকে নবাব করেন। ঐ অবোর ১৭ই আগষ্ট ইংরাজরাজনামাঙ্কিত প্রথম মুদ্র প্রচার হয়। এই অন্ধ হইতেই কলিকাতার । খ্ৰীবৃদ্ধি আরম্ভ হয়। কারণ সিরাজের আদেশে একপ্রকার এই স্থান নষ্ট
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯৬৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।