ጫ6:: দেবগণের মর্ভ্যে আগমন বিখ্যাত। ঐ স্থানে অনেকগুলি টোল আছে। পণ্ডিতদিগেব পাণ্ডিতোব মধ্যে, টাকা দিলে সকল বিষয়েব বিধান প্রস্তুত করিয়া দিতে পারেন কঁঠালপাড়ায় রাধাবল্পজী নামে একটা বিগ্রহ আছেন। বিগ্রহটা উক্তস্থানের চাটুৰ্য্যে মহাশয়দিগের, ঠাকুরের বেস সেবা করা হয় এবং অনেক অতিথিসেবা হইয় থাকে। বিগ্রহের কৃপায় চাটুৰ্য্যেরা ধনে পুত্রে লক্ষ্মীলাভ করিয়াছেন। ঐ বাড়ীর প্রায় সকলেই ডেপুটিমাজিষ্ট্রেট। উপন্যাস লেখক সুবিখ্যাত বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ঐ বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন।” ব্ৰহ্মা। আমাকে বঙ্কিমের জীবনচরিত বল । বরুণ। ইনি যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পুত্র । যাদব বাবু লণ্ড হার্ডিঞ্জের সময় একজন সুপ্রসিদ্ধ ডেপুটীমাজিষ্ট্রেট ছিলেন । বঙ্কিমের স্মরণশক্তি এত তীক্ষ যে, যে দিন হাতেখড়ী হয়, সেই দিনই প্ৰহলাদের স্থায় ৩৪ অক্ষর শিক্ষা করিয়াছিলেন । ইনি পিতার নিকট থাকিয়া প্রথমে মেদিনীপুর স্কুলে পড়েন। তথায় ইনি বৎসরে দুই ক্লাশ করিয়া উঠিতেন । ১৮৫১ সালে ইহঁর পিত। ২৪ পরগণায় বদলী হইয়া আসিলে বঙ্কিম হুগলী কলেজে ভৰ্ত্তি হন । হুগলী কলেজে দ্বারকানাথ মিত্র ও বঙ্কিম চট্টোপাধ্যায়ের গুণয় প্রতিভাশালী ছাত্র আর কখন আসে নাই। হুগলী কলেজ হইতে ইনি সিনিয়ার স্কলারশিপ লইয়া প্রেসিডেন্সি কলেজে প্রবেশ করেন । ইহার পর ইনি এফ এ ও বি এ পরীক্ষা দেন । বি এ পরীক্ষা ইনি শিক্ষকের সাহায্য ব্যতিরেকে তিন মাস মাত্র ঘরে পাঠ করিয়া দিয়াছিলেন । ১০ বৎসর বয়ঃক্রম হইতেই ইনি ও হিন্দু কলেজের ছাত্র ৮দীনবন্ধুমিত্র ও -কৃষ্ণনগর কলেজের ছাত্র ৮দ্বারকানাথ অধিকারী তিন জনে ঈশ্বর গুপ্তের প্রভাকরে কবিতা লিখিতেন। ১২৫৩ সালে ইনি একজন অধ্যাপকের নিকট সংস্কৃত শিক্ষা করেন এবং এক বৎসরের মধ্যে মুগ্ধবোধ ব্যাকরণ, রঘুবংশ, ভটিকাব্য, মেঘদূত, উদ্ধবদূত প্রভৃতি অধ্যয়ন করিয়াছিলেন। ইনি
- বি,এ পাশ করিলে, লেপ্টনেন্ট গভর্ণর হালিডে সাহেব উপযাচক হইয়: