ዓ®v দেবগণের মর্ত্যে আগমন আমাদের ধৰ্ম্ম।” কর্তাভজার গুরুদিগের নাম মহাশয় ও শিক্ষুদিগের নাম বরাতি। গুরু শিষ্ণুকে প্রথমে "গুরুত্য” এই এক আন মন্ত্র প্রদান করেন, তৎপরে জ্ঞান পরিপক্ক হইলে ঘোল আনা মন্ত্র দেন । ব্ৰহ্মা । ষোল আন মন্ত্র কি ? * = বরুণ। ষোল আন মন্ত্র হচ্চে—“কৰ্ত্ত আউলে মহাপ্রভু,আমি তোমার সুখে চলি ফিরি, তিলাৰ্দ্ধ তোমা ছাড়া নহি, আমি তোমার সঙ্গে আছি, দোহাই মহাপ্রভু।” আউলচাদ ইন্দ্রিয় দোষের ভূয়োভুয়ঃ নিষেধ করিয়াছেন। যথা— “মেয়ে হিজড়ে, পুরুষ খোজা, তবে হয় কর্তাভজা ।” কৰ্ত্তাভজারা জাতিভেদ স্বীকার, উচ্ছিষ্ট বিচার করে না ; কিন্তু কঁাচড়াপাড়ার বৈদ্য কৰ্ত্তাভজার জাতিভেদ স্বীকার করে । কৰ্ত্তাভজার মন্ত্রজপ ও প্রেমানুষ্ঠান দ্বারা ক্রমে ক্রমে সিদ্ধিলাভ করিতেছে। ইহার মধ্যে মধ্যে বৈঠক করিয়া নান৷ আমোদে সমস্ত রাত্রি অতিবাহিত করে । শোনা যায়, বস্ত্রহরণ পর্য্যস্ত বাকী থাকে না। কৰ্ত্তাভজার মহাশয়েরা কহে—মন্ত্রদাতা, জগৎপ্ৰভু আউলচাদের স্বরূপ । ঐ ঘোষপাড়ার পালদিগের বাটীতে এক গদি আছে ; যে তাহার উত্তরাধিকারী হয়, তাহাকে ঠাকুর বলে এবং কায়স্থ ও ব্রাহ্মণ প্রভৃতি কৰ্ত্তাভজারা যাইয়া সেই ঘোষ ঠাকুরকে প্রণাম করে ও পদধূলি লইয়৷ পরে পাতের প্রসাদ খাইয়া পবিত্র হয়। আউলৰ্চাদের প্রসাদে পালেদের মুখ সৌভাগ্যের সীমা নাই। উহাদের বিস্তর সম্পত্তি হইয়াছে। মহাশয়ের পালেদের গোমস্ত স্বরূপ । তাহারা শিস্য সংগ্রহ, ধৰ্ম্মোপদেশ ও দান গ্ৰহণাদি করে এবং শিষ্যদিগের নিকট কর আদায় করিয়া পাল কৰ্ত্তাকে দিয়া আসে। মহাশয়দের লাভ এই, শিষ্যবাড়ী জামাই আদরে খেতে পায়, “ভাল ভাল কাপড় পায়, আরো কত কি পায় । ঘোষপাড়ায় বৎসর বৎসর ফুটা করিয়া উৎসব হয় ; যথা দোল ও রাস। দোলে সমারোহের সীমা
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯৮০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।