পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষ্টেশন ዓ® করিয়া দিবারাত্রি ইহার হোম যাগে মগ্ন থাকিতেন। দেবীর নামে যথেষ্ট বিষয় দিয়াছেন। বিষয়ের আয় হইতে অস্থাপি অতিথিসেবা ও ব্রাহ্মণ ভোজনাদি হইয়া থাকে । ইহঁার পুত্রেরাও বাপের কীৰ্ত্তি বজায় রাখিবার নিমিত্ত বিশেষ যত্ন ও মনোযোগ করিয়া থাকেন। মুখড়িয়ার পশ্চিম সোমড়া । ইহা অতি প্রাচীন গ্রাম । বহুদিন হইতে এই গ্রামে বৈদ্যের বাস আছে ; ইহা বৈদ্যপ্রধান স্থান বলিয়৷ খ্যাত । এই গ্রামস্থ বৈদ্যগণ মোগল সম্রাটের অধিকারকালে দিল্লী, লক্ষেী, মুরশীদাবাদ, ঢাকা প্রভৃতি স্থানে রাজকার্যে উচ্চপদারূঢ় হইয়াছিলেন। ইহঁাদের মধ্যে রায় রামশঙ্কর ঢাকার নবাবের নায়েব দেওয়ান ছিলেন। তিনি এই গ্রামে ১৬৭৭ শকে নবরত্নশোভিত মন্দির প্রতিষ্ঠিত করিয়া তন্মধ্যে “মহাবিদ্যা” নামে জগদ্ধাত্রীমূৰ্ত্তি স্থাপিত করেন। অদ্যাপি উক্ত মন্দির ও প্রতিমা বৰ্ত্তমান আছে। রামশঙ্করের কনিষ্ঠ ভ্রাতা রাজকিশোর মহীশূল রাজ্যের দেওয়ানী করিয়াছিলেন। র্তাহার প্রতিষ্ঠিত দেবমূৰ্ত্তি আছে। এই স্থানের রায়রায়াল রামচন্দ্র দৃঢ়প্রতিজ্ঞ স্বল্পদর্শী বিদ্বান ও বিচক্ষণ ব্যক্তি ছিলেন। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র ইহার পিতা কৃষ্ণরামকে কারারুদ্ধ করিলে, প্রতিশোধ লইবার জন্ত ইনি দিল্লী যাত্রা করেন এবং সম্রাটু আহন্ধদসাকে সন্তুষ্ট করিয়া “রায়রায়ান” উপাধি সহ এক সহস্র সৈন্ত রাখিবার অনুমতি প্রাপ্ত ও মুরশীদাবাদের নবাব আলিবদি সহ পরিচিত হয়েন এবং মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রকে মুরশীদাবাদে কারারুদ্ধ করিয়া নদীয়। রাজ্য শাসন করেন। রাজার কারামুক্তি সংবাদে সোমড়ায় আসিয়া বাস করেন। অদ্যপি তদ্বংশীয়ের বর্তমান আছেন। রামচন্দ্রের সহিত মহারাজী নন্দকুমারের বিশেষ সৌহৃদ্য; ছিল । নন্দকুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উপস্থিত হইলে ইনি প্রাণপণে র্তাহার উদ্ধারের চেষ্টা করিয়াছিলেন, কিন্তু কৃতকাৰ্য্য হইতে পারেন নাই। কর্ণেল মনসন, জেনারেল ক্লেভারিং ও ফ্রানসিস ফিলিপ, প্রভৃতি রাজপুরুষদিগের সহিত ইহার