ዓ\ge দেবগণের মর্ত্যে আগমন বিশেষ বন্ধুত্ব ছিল। গঙ্গাগোবিন্দ সিংহ পদচ্যুত হইলে ইনি নায়েব দেওয়ান পদে নিযুক্ত হইয়াছিলেন। লর্ড কর্ণওয়ালিসের সময় দশশালার বন্দোবস্তে সাহায্য করিয়াছিলেন এবং পূর্ববঙ্গ ও দিনাজপুর বন্দোবস্তের ভার স্বয়ং লইয়াছিলেন । র্তাহার স্বাক্ষরিত লাখরাজের ছাড় এখনও পূৰ্ব্ববঙ্গে অনেকের গৃহে আছে। তিনি এই সময় শালগ্রাম শিলা লক্ষ্মীনারায়ণ জীউকে প্রাপ্ত হয়েন । অদ্যাপি ঐ শিলা বর্তমান আছেন । এই গ্রামের বলরাম রায় আরাকানের নবাবের দেওয়ান ছিলেন । র্তাহার প্রতিষ্ঠিত রাজরাজেশ্বরীমূৰ্ত্তি বর্তমান আছেন। বৈদ্য ভিন্ন এই স্থানে অন্যান্য জাতির মধ্যে অনেক শিক্ষিত লব্ধপ্রতিষ্ঠ লোক ছিলেন। অধুনা গ্রামে অত্যন্ত বানরের উপদ্রব, নর-বানরেরও অসদ্ভাব নাই । এই সময় ওদিকের গাড়ীখান অতিক্রম করিয়া যাওয়ায় কলিকাতার ট্রেণ সা সোৎ স সোৎ শবো যাইয়া ঝণ ঝনাৎ শব্দে রাণাঘাটে যাইয়া উপস্থিত হইল । - বরুণ। এই স্থানের নাম রাণাঘাট । স্থানটা চুণী নামক নদীর উপর অবস্থিতি করিতেছে। পূৰ্ব্বে এখানে অত্যন্ত বন ছিল এবং অনেক দস্থ্য বাস করিত । রাণী নামক একজন দস্থ্য উহাদের সর্দার ছিল, ঐ রণার নাম হইতেই রাণাঘাট নাম হইয়াছে। এখানে সিদ্ধেশ্বরী নামে এক কালী আছেন, ঐ কালী রণা দস্থ্যর কালী । রাণাঘাট পাস্তিদিগের জন্ত বিখ্যাত । এই পাস্তিদিগের আদিপুরুষ কৃষ্ণ পাণ্ডিই বিষয় করেন, কৃষ্ণ পাস্তি অতি সদাশয় ও মহৎ লোক ছিলেন.। ব্ৰহ্মা । কৃষ্ণ পাস্তির বিষয় আমাকে বল । বরুণ।.ইনি ১৭৪৯ খ্ৰীঃ ১১৫৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন, ইহঁীরা জাতিতে তিলি। ইহঁর পিতার নাম সহস্ররাম পাত্তি। সহস্ররাম পান বিক্রয় করার পাপ্তি উপাধি হয় । কৃষ্ণ পাস্তি বাল্যকালে রাণাঘাটের তিন ক্রোশ
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯৮৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।