পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষ্টেশন ༥༽v་2>་༠ পূৰ্ব্বে গাংনাপুর নামক স্থানের হাট হইতে দ্রব্যাদি খরিদ করিয়া আনিয়া বিক্রয় করিতেন এবং তাহাতে যৎসামান্ত মূলধন হইলে কয়েকটা বলদ খরিদ করেন এবং আঙ্কুলে কায়েতপাড়ার তিলিদের নিকট হইতে চাউল ধান ক্রয় করিয়া বিক্রয় করেন । ১৮৮৬ সালে কলিকাতায় ছোলা দুষ্প্রাপ্য হওয়ায় একজন মহাজন এই দিকে ছোলা কিনিতে আসিলে রাণাঘাটের ঘাটে কৃষ্ণপাস্তির সহিত আলাপ হয়। কৃষ্ণপাস্তি চুক্তিপত্র লিথিয় দিলে ছোলা কিনিয়া দিতে পারি’ বলায় মহাজন সন্মত হইয়া চুক্তিপত্র লিখিয়া দেন । এই সময় আড়ংঘাটার মহাস্ত গোলার তাবৎ ছোলায় পোকা ধরিয়াছে, অতএব তিনি কৰ্ম্মচারীকে কহেন—“খরিদদার পাইলে ছোলাগুলো সস্তী দরে ছাড়িয়া দিও।” কৃষ্ণপান্তির অদৃষ্টলক্ষ্মী সুপ্রসন্ন—তিনি এই ঘটনার পর মহাস্তের নিকট যাইয়া সুবিধা দরে সমস্ত ছোলা খরিদ করেন এবং মাল নৌকায় তুলিয়া টাকা দিবার বন্দোবস্ত হয়। ছোলার দুইপ্রকার মূল্য স্থির হইল, ভাল w০ বার আনা ও পোকা ধরা দুই আন মণ। কৃষ্ণপান্তি মহাজনের নিকট মূল্য ধাৰ্য্য করিলেন, ভাল ২ জুই টাকা; মধ্যম দেড় টাকা এবং পোকা ধরা ছয় আনা । এই ছোলা বিক্রয় করিয়া তিনি ৭,৭৫০ টাকা লাভ করেন এবং এই টাকায় লবণের ব্যবসা করেন। ইহাতে তিন হাজার টাকা লাভ পান। তৎপরে নীলামে দ্রব্য খরিদ করিতে আরম্ভ করেন, এই সময় তিনি কলিকাতায় হাটখোলার কর্তাবাবু নামে সকলের নিকট পরিচিত হন। ইহার পর ভ্রাতা শম্ভুচন্দ্রের পরামর্শে তালুক খরিদ করেন। ১২০৬ সালে রাণাঘাট খরিদ করেন এবং আবাসবাদী উদ্যানবাটী, গোলাবাটী, অশ্বশাল, বাধাঘাট প্রভৃতি নিৰ্ম্মাণ করিয়া নগরের শোভা সম্পাদন করিতে থাকেন। এক্ষণে স্বরেন্দ্রনাথ পাল চৌধুরি ষে । বাটতে বাস করিতেছেন, ঐ বাটতে রাস, দোল ও দুর্গোৎসব প্রভৃতি হইত। মহোৎসব-বাটতে উমেশচন্দ্র পাল চৌধুরির পুত্রেরা এবং বসত বাটতে ব্ৰজনাথ পাল চৌধুরি বাস করিতেছেন। কৃষ্ণনগরের রাজা