পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষ্টেশন ግ\bs) কোন লোককে ੇ কি গুপ্তিপাড়া হইতে আসিতেছ?” বলিলে বানর বলা হয়। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র একবার গুপ্তিপাড়া হইতে একটী বানর লইয়। গিয়া অতি সমারোহে তাহার বিবাহ দিয়াছিলেন । ঐ বানরের বিবাহে তিনি প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা ব্যয় করেন এবং নবদ্বীপ, শান্তিপুর, উলী, গুপ্তিপাড়া প্রভৃতি হইতে বিস্তর ব্রাহ্মণ নিমন্ত্ৰণ করিয়া আনিয়াছিলেন। গুপ্তিপাড়ায় কয়েকট দেবালয় আছে, তন্মধ্যে বৃন্দাবনচন্দ্র নামক বিগ্রহ বড় জাগ্রত । কেহ ইহঁার জমী, কি বাগান ও পুষ্করিণী ফাকি দিয়া লইয়। ভোগ করিলে নিৰ্ব্বংশ হয়। বৃন্দাবনচন্দ্রের রথে বড় সমারোহ হইয়৷ থাকে । এই গুপ্তিপাড়ায় বাণেশ্বর বিদ্যালঙ্কার জন্মগ্রহণ করেন । ইহঁার পিতার নাম রামদেব তর্কবাগীশ । ইনি মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের সভাসদ ছিলেন । রাজা কলিকাতায় শোভাবাজারে বিদ্যালঙ্কারকে একটা বাড়ী কিনিয়া দেন । ইনি কলিকাতায় বসাক বাড়া শ্রাদ্ধের নিমন্ত্রণে যাওয়ায় রাজা কিছু অভক্তি প্রকাশ করেন, ইহাতে বাণেশ্বর কৃষ্ণনগর পরিত্যাগ করিয়া বৰ্দ্ধমানে যান এবং তথাকার রাজা চিত্ৰসেন ইহাকে সাদরে নিজ সভার প্রধান পণ্ডিত করেন । গুপ্তিপাড়ার পর কালনা। কালনা শান্তিপুরের অপেক্ষ ছোট, কিন্তু বাজার হাট বেশ পরিষ্কার । কালনায় বদ্ধমানের রাজার অনেক কীৰ্ত্তি আছে । যথা—রাজার চক, রাজবাটী, সমাজবাটী ইত্যাদি । সমাজবাটীতে—রাজা, কি রাণীর মৃত্যু হইলে অস্থি আনিয়া রক্ষা করা হয় । রাজা জীবদ্ধাশয় যেরূপ বাবুগিরি করিতেন, তদ্রুপ সেবা ও খাট পালঙ্ক প্রভৃতি রাখা হয় । . কালনায় বদ্ধমানের রাজার অনেক দেবালয় আছে, তন্মধ্যে লালজী নামক বিগ্রহ অতি প্রসিদ্ধ । ইহার রাস ও ঝুলানে বেশ সমারোহ হয় এবং প্রত্যহ অনেক অতিথিসেবা হইয়া থাকে। চৈতন্তদেব সংসার পরিত্যাগ করিয়া দেশ পর্য্যটনে যাইবার সময় কালনায় আসিয়া যে তেঁতুলতলায় বিশ্রাম করেন, সেই তেঁতুলগাছ অদ্যপি বর্তমান জাছে এবং তাহার তলায় মহাপ্রভুর প্রতিমূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ করিয়া রাখিয়াছে ।