পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՊՆ8 দেবগণের মর্ত্যে আগমন এই সময় অপর এঞ্জিন ছুটিয়া আসিজু গপাৎ শৰে ট্রেণখানাকে লইয়া হুপান্থপ শৰে ছুটয় আড়ংঘাটায় উপস্থিত হইল । বরুণ। এই স্থানের নাম আড়ংঘাটা। আড়ংঘাটা চুণা নামক নদীর তীরে অবস্থিত। এখানে একটী বিগ্রহ আছেন, ইহঁার নাম যুগলকিশোর। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ইহঁাকে অনেক বিষয় করিয়া দিয়াছিলেন। এক্ষণেও দেবালয়ে অনেক নাগা সন্ন্যাসী বাস করিয়া প্রতিপালিত হইতেছে। যুগলকিশোর এক জন মহান্তের তত্ত্বাবধানে আছেন । মহাস্ত তেজারতি করিয়া ঠাকুরের বিষয় অনেক বাড়াইয়াছেন । এই মহান্তের নিকট হইতেই কৃষ্ণপান্তি ছোলা খরিদ করিয়া বড়মানুষ হন । জ্যৈষ্ঠ মাসে যুগলরাপ দেখিলে স্ত্রীলোকেরা পরজন্মে বিধবা হইবে না, বর্তমান মহাস্ত এইরূপ স্বপ্ন দেখায় ঐ সময় ডাব অত্যন্ত মহার্ঘ্য হয় । আড়ংঘাটার কিছু দূরে উল নামক একটা বৃহৎ গ্রাম আছে। ধনপতি সদাগরের পুত্ৰ শ্ৰীমন্ত সদাগর সিংহল যাত্রাকালে ঐ স্থানে নামিয়া মঙ্গলচণ্ডীর পূজা করেন। সেই চণ্ডী উলুই চওঁীনামে বিখ্যাত হইয়া অদ্যাপি বিরাজ করিতেছেন । ইহঁার নিকট বৎসর বৎসর সমারোহে একটা করিয়া জাত হইয়া থাকে জাতের দিন কত যে পাট ও মহিষের প্রাণ নষ্ট হয় বলা যায় না । উলার অপর নাম বীরনগর। বীরনগরের মুখোপাধ্যায় মহাশয়েরা অত্যন্ত সম্রাস্ত জমীদার, উলার জমীদারদিগের মধ্যে বামনদাস বাবু বিখ্যাত। বামনদাস বাবুর পিতামহকে কৃষ্ণপাস্তি একখানি তালুক খরিদ করিয়া দেন। ঐ তালুক হইতেই ইহঁার বিখ্যাত জমাদার হইয়াছেন। উলার মহামারী বড় বিখ্যাত। ঐ মহামারীতেই গ্রামটী এক প্রকার ধ্বংস হইয়াছে । এই সময় ট্রেণ আড়ংঘাট অতিক্রম করিয়া বগুলায় যাইয়া উপস্থিত হইল । বরুণ কহিলেন, “এই স্থানে নামিয়া ঘোড়ার গাড়ীতে কৃষ্ণনগর যাইতে হয়। কৃষ্ণনগর বগুলা হইতে ৫৭ ক্রোশ দূর হইবে।” ব্ৰহ্ম। কৃষ্ণনগরের বিষয় বল । -