পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষ্টেশন శి\t বরুণ ॥ ২ কৃষ্ণনগর রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের জন্ত বিখ্যাত। ঐ রাজার প্রপিতামহ রাজা রুদ্রনারায়ণ ঢাকা হইতে আলাল দস্ত নামক একজন প্রসিদ্ধ স্থপতিকে আনাইয়। রাজবাট ও চক নিৰ্ম্মাণ করেন এবং তাহার দ্বারায় ঐ স্থানের গাড়ালেরা ঐ বিদ্যা শিক্ষা করে। গাড়ালের এমন মুন্দর ঐ কাজ শিক্ষা করিয়াছিল যে, রাজার পূজার দালান তাহার সাক্ষ্য দিতেছে। ১৫০ বৎসরের দালানে এ পর্য্যন্ত মেরামত আবশুক হয় নাই । ঐ স্থানের কুম্ভকারের বেশ প্রতিমা নিৰ্ম্মাণ, পট চিত্র ও ছবি গড়ায় নিপুণ । কৃষ্ণনগর হইতেই জগদ্ধাত্রী ও অন্নপূর্ণ প্রথম প্রচারিত হয়। কৃষ্ণনগরের রাজবাটীতে পাচটী কামান আছে। ঐ কামানগুলি পলাশী যুদ্ধের পর ক্লাইব সাহেব রাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে উপহার দেন । নবাব মীরকাশিম রাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে তৎপুত্র শিবচন্দ্র সহ মুঙ্গেরে লইয়া গিয়া তাহাদের ‘বধার্থে ধরিয়া আনিতে লোক পাঠাইবার সময় পিতা পুত্রে যে ভাবে বসিয়া ইষ্টদেবতার স্মরণ করিয়াছিলেন, সেই প্রতিমূৰ্ত্তি আছে । ব্ৰহ্মা। তুমি রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের জীবনচরিত বল। বরুণ । ইনি ১৭০৫ খৃঃ অব্দে নবাব মুরশিদ কুলি খাঁর সময়ে কৃষ্ণনগরে জন্মগ্রহণ করেন। ইনি রাজা রঘুরাম রায়ের পুত্র। কৃষ্ণচন্দ্র অসাধারণ মেধাপ্রভাবে সংস্কৃত, বাঙ্গালা ও পার্সী ভাষায় বিশেষ ব্যুৎপত্তি লাভ করিয়াছিলেন । ইহার সভায় ভারতচন্দ্র রায়, রামপ্রসাদ সেন, বাণেশ্বর বিদ্যালঙ্কার, রামশরণ তর্কালঙ্কার এবং অমুকুল বাচস্পতি প্রভৃতি সভাসদ ছিলেন। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র অগ্নিহোত্র, বাজপেয় প্রভৃতি অনেকগুলি যজ্ঞ করিয়াছিলেন। নবাব সিরাজউদৌলাকে পদচ্যুত করিবার জন্য যে সভা হয়, সেই সভার ইনি একজন সভ্য ছিলেন। ১১৯৭ সালে ( ১৫৯৭ খৃ: ) ইহঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর জ্যেষ্ঠ পুত্র শিবচন্দ্র রাজা হন । নারা । এ রাজা কেমন ছিলেন ? বরুণ। রাজা শিবচন্দ্র, কৃষ্ণনগরে আনন্দময়ী নামে এক কালী, আনন্দ