পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষ্টেশন ૧૭૧ দিকে, তৎপরে.সড়াসদৃদিগের প্রতি চক্ষু ঠারায় নবাব উহার চোখ ঠার রোগ আছে ভাবিয়া ছাড়িয়া দেন। কৃষ্ণনগর হইতে দুই ক্রোশ দূরে নবদ্বীপ। নবদ্বীপ চৈতষ্ঠদেবের জন্ত বিখ্যাত । ব্ৰহ্মা । চৈতন্তদেবের জীবনচরিত বল । বরুণ । ইনি ১৪৮৪ খ্ৰীঃ নবদ্বীপে জন্মগ্রহণ করেন । ইহঁর পিতার নাম জগন্নাথ মিশ্র এবং মাতার নাম শচী দেবী। চৈতন্তের বাল্য বয়সের অনেক গল্প আছে । যথা—এক দিবস তিনি মুক্তিকা খাইলে মাত তিরস্কার করায় কহেন কেন মা ! আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ খাদ্য ত মৃত্তিকার রূপান্তর মাত্র।” আর এক সময় তিনি কোন অপরাধ করিলে জননা যখন মারিতে যান, আঁস্তাকুড়ে পলাইয়াছিলেন ; মাতা স্নান করিতে বলায় কহেন, “মা ! ভাঙ্গা হাড়িকুড়ি অপবিত্র নয় ; যাহাতে মানুষকে অপবিত্র করে, তাহা ত মামুষের দেহেই থাকে।” চৈতন্ত গঙ্গাদাসের নিকট বিদ্যাভ্যাস করেন।. ভাগবত গ্ৰন্থই ইহঁার অত্যন্ত প্রিয় ছিল । ইহঁর প্রথম স্ত্রী লক্ষ্মীর সর্পাঘাতে মৃত্যু হইলে বিষ্ণুপ্রিয়ার পাণিগ্রহণ করেন । ১৫০৯ খৃঃ চৈতন্যদেব কালনায় যাইয়া সন্ন্যাসধৰ্ম্ম গ্রহণ করেন। এই ঘটনায় তাহার মাতা অত্যন্ত দুঃখিত হন । কারণ তিনি মায়ের একমাত্র ভরসাস্থল ছিলেন । চৈতন্তের আট ভগিনী শৈশবে মারা যান, জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা বিশ্বরূপ ইতিপূৰ্ব্বে সন্ন্যাসী হন । পাছে চৈতন্যদেব ফেলিয়া পলান, এজন্ত মাতা তাহাকে নয়নান্তর করিতেন না । ষে রাত্ৰিতে চৈতন্ত কালনায় যাইয়। সন্ন্যাসী হন, সেই রাত্রে শচী তাহাকে শিশুর স্তায় কোলে লইয়া শয়ন করিয়াছিলেন ; কিন্তু তাহার সহচরের বংশী বাজাইয়া সঙ্কেত করায় তিনি নিদ্রিত মাতার ক্রোড় হইতে সতর্ক ভাবে উঠিয়া পলায়ন করেন । এই কারণে অদ্যপি যে মাতার এক পুত্র, তিনি রজনীতে বংশীরব শুনিলে আহার করেন না । চৈতন্তের বক্তৃতা শ্রবণে ডাবির ও খ্যাশ নামক দুই যবন ভ্রাতা বৈষ্ণবধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়া রূপ ও সনাতন নামে