૧૭ দেবগণের মর্ত্যে আগমন বিখ্যাত হন। চৈতন্যদেৰ সন্ন্যাসধৰ্ম্ম গ্রহণের পর একবার শান্তিপুরে অদ্বৈতাচার্য্যেয় বাটতে মাতাকে আনাইয়া সাক্ষাৎ করেন এবং তৎপরে জগন্নাথ দেবের দর্শনার্থে নীলাচলে যান এবং পথিমধ্যে সাৰ্ব্বভৌম ভট্টাচাৰ্য্যকে নিজ দলভূক্ত করেন। নীলাচল হইতে ইনি দণ্ডকারণ্য, ঐরঙ্গপত্তন ও কাবেরী দর্শন করিয়া সেতুবন্ধ রামেশ্বরে যান। এই সময়ে বুদ্ধাচাৰ্য্য বৈষ্ণবধৰ্ম্ম গ্রহণ করেন । ইহার পর বৃন্দাবন যাত্রা করেন, তথায় কয়েকজন পাঠান ইহার নিকট বৈষ্ণবধৰ্ম্ম গ্রহণ করে এবং এই জন্তই উত্তর ভারতে ইনি পাঠান-গোসাই নামে বিখ্যাত। এথান হইতে ইনি নীলাচলে আসিয়া বাস করেন এবং ঐ স্থানেই মৃত্যু হয়। কৃষ্ণদাস লিখিয়াছেন, এক দিন চন্দ্রের জ্যোতিঃ চিল্ক হ্রদের মধ্যে পড়িয়াছিল এবং সেই সময় অত্যন্ত বাতাসে জল তরঙ্গায়িত হওয়ায় বোধ হইতেছিল যেন দ্রধাভূত স্বর্ণ জলমধ্যে হিল্লোল করিতেছে । চৈতন্য তদর্শনে শ্ৰীকৃষ্ণ ক্রীড়া করিতেছেন জ্ঞান করিয়া আলিঙ্গনার্থ লম্ফ দিয়া পড়েন, তাছাতেই তাহার মৃত্যু হয়। চৈতন্তের শিষ্যগণ তাহাকে স্ত্রীকৃষ্ণের অবতার বলিয়া স্বীকার করেন । রূপ গোস্বামী ইহার শিষ্য ছিলেন । র্তাহার প্রণীত বারতের খানি সংস্কৃত গ্রন্থ আছে । ইহার সনাতন গোস্বামী, জীবগোস্বামী, গোপাল ভট্ট প্রভৃতি আরও অনেক শিস্য ছিলেন । ইহঁরই সময় বঙ্গদেশে গ্রন্থ প্রণয়নের আদি কাল । নবদ্বীপ সংস্কৃত বিদ্যার জন্ত বিখ্যাত। চৈতন্ত-ভাগবতে বর্ণিত আছে, নবদ্বীপ অপেক্ষা স্থান পৃথিবীতে নাই। কারণ এই স্থানে চৈতন্তের জন্ম হয়। ঐ স্থানে বিস্তর টোল আছে । পুরাতন নবদ্বীপ এক্ষণে জঙ্গলে পরিপূর্ণ। নুতন নবদ্বীপের দুই দিকে ভাগীরথী ও জলঙ্গী আসিয়া মিলিত হইয়াছে। বর্ষাকালে স্থানটী দ্বীপের আকার ধারণ করে। বিল্বগ্রাম ও ধাত্রীগ্রাম পূৰ্ব্ব নবদ্বীপের একটি পল্লী ছিল। পূৰ্ব্বে নবদ্বীপ জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল, কাশীনাথ নামক রাজা সঙ্গিগণসহ ভ্রমণ করিতে আসিয়া ।
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯৯২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।