পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষ্টেশন . . ዓw.. ' স্থানটী দেখিয়া মোহিত হন এবং নিজের রাজধানী করেন। তিনি আসিবার সময় তিন ঘর ব্রাহ্মণ ও নয় ঘর চাষ সঙ্গে করিয়া আনেন । এই নবদ্বীপই বৈদ্যবংশের শেষ রাজা লক্ষ্মণ সেনের রাজধানী ছিল। এই লক্ষ্মণ সেনের সময় কুতুব উদ্দীনের প্রধান সেনাপতি বক্তিয়ার খিলিজী আসিয়া নবদ্বীপ অধিকার করেন । চৈতন্তের প্রধান শিষ্ণু রামানন্দ তন্ত্র শাস্ত্র হইতে সতীদাহগ্ৰস্থ প্রথমে নবদ্বীপে প্রচার করেন। চৈতন্ত দেব এই সতীদাহ দেখিয়া দুঃখিত হন এবং পথে পথে খোল করতাল বাজাইয়৷ বৈষ্ণবধৰ্ম্ম প্রচার ও বৈষ্ণবীবিবাহপ্রথা প্রচলিত করেন । মনু মহুযুদেহ দাহ করিয়া জলে ফেলিয়া দিবার প্রথা প্রচার করেন । চৈতন্যদেব গোর দিবার ব্যবস্থা করেন । চৈতন্য যে স্থানে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, উছ এক্ষণে গঙ্গাগর্ভে গিয়াছে । চৈতন্তের ভক্তেরা তাহাকে অবতার বলিয়া বর্ণনা করেন। নবদ্বীপের একটা মন্দিরে চৈতন্তের পারিষদ নিত্যানন্দের মুক্তি আছে, বৈষ্ণবের ঐ মূৰ্ত্তি পূজা করিয়া থাকে । চৈতন্তের ভক্তের বৈরাগী। নবদ্বীপে বিস্তর বৈরাগী আছে। বৈরাগীদিগের সহিত ব্রাহ্মণদিগের সম্ভাব নাই, উভয়ে উভয়কে ঠাট্ট করে। চৈতন্তের ধৰ্ম্ম অনুসারে কায়েত বেণেতে পাচ সিকা খরচ করিয়৷ বিবাহ করিতেছে। নবদ্বীপে আগমবাগীশের কালীমুৰ্ত্তি আছেন। ঐ ব্যক্তিই প্রথমে এই মূৰ্ত্তি বঙ্গদেশে প্রচার করেন । আগমবাগীশের বাসস্থান এক্ষণে গঙ্গাগর্ভে গিয়াছে । নবদ্বীপ যে বহুকালের গ্রাম, ইহা পোড়া মা নামক দেবীকে দেখিলেই জানিতে পারা যায়। এই মুক্তি পুরাতন নবদ্বীপের জঙ্গলের মধ্যে ছিলেন । কাশীনাথের লোকেরা যখন জঙ্গল দগ্ধ করে, তখন ইনি দগ্ধ হন । সেই জন্তই পোড়া মা কহে । ইনি প্রায় একশত বৎসরের একটা ডম্বুর বৃক্ষের তলায় আছেন। ইহার সন্নিকটে রাজ। কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের এক বৃহৎ আকারের কালী মন্দিরমধ্যে বিরাজ করিতেছেন। নবদ্বীপের কাসারির অত্যন্ত ধনী, প্রায় সৰ্ব্বত্রই ইহাদিগের দোকান আছে ।