영) 이 দেবগণের মর্ত্যে আগমন কাসারিদিগের মধ্যে গুরুদাস কাসারি বিখ্যাত লোক ছিলেন, ইহঁার গৃহে একটা কামধেনু ছিল। গুরুদাস বাবুও নাই, তাহার সে কামধেন্থও নাই। র্তাহাদের সঙ্গে সঙ্গে বিষয় বিভবও নাই। নবদ্বীপ স্থায়শাস্ত্রের আলোচনার জন্য প্রসিদ্ধ। এখানকার পঞ্জিকা বড় বিখ্যাত। নবদ্বীপের পশ্চিমে জান্নগর। ঐ স্থানে জহুমুনির মন্দির আছে, ঐ স্থানে কৃষ্ণনগরের রাজাকে মুরশীদাবাদের নবাব পিপীলিকার ঘরে কারারুদ্ধ করেন। একটা দুর্গামূৰ্ত্তি আছে। পূৰ্ব্বে ঐ দুর্গার নিকট নরবলি দেওয়া হইত। দুর্গ যে স্থানে আছেন, সেই স্থানকে ব্রাহ্মণতলা কহে । অদ্যাপি বৎসর বৎসর ঐ স্থানে একটা করিয়া মেলা হয়। ঐ মেলাকে ঝাপান কহে । নবদ্বীপ হইতে অগ্রদ্বীপে যাওয়া যায়। অগ্রদ্বীপ ঘাইতে হইলে মিরতলা নামক স্থান দিয়া যাইতে হয়। ঐ মিরতলায় অত্যস্ত ডাকাইতের ভয় ছিল। অগ্রদ্বীপ গঙ্গার তীরে অবস্থিত। অগ্রদ্বীপের গোপীনাথ অত্যন্ত বিখ্যাত। ইনি বৎসর বৎসর ঘোষ ঠাকুরের শ্রাদ্ধ করেন। ঘোষ ঠাকুর চৈতন্তের এক জন শিষ্য, তিনিই গোপীনাথ মুৰ্ত্তি স্থাপন করেন । ১৭৬৩ অব্দে এই স্থানের নিকট মীরকাসিমের সৈন্তগণ ইংরাজ কর্তৃক পরাজিত হয়। ব্ৰহ্মা । ঘোষ ঠাকুরের বিষয় বল । বরুণ । ঘোষ ঠাকুর জাতিতে কায়স্থ। চৈতন্তের শিষ্য ছিলেন। ইনি এক দিন চৈতন্তদেবের মুখশুদ্ধির জন্ত একটা হরীতকী ভিক্ষা করিয়া আনিয়া অৰ্দ্ধেক প্রদান করেন ও অৰ্দ্ধেক পর দিনের জন্ত রাখেন। ইহাতে চৈতন্যদেব “অষ্ঠাপি তোমার সঞ্চয়ের ইচ্ছা আছে, অতএব আমার নিকট হইতে প্রস্থান কর” বলিয়া বিদায় দেন। ইহাতে ঘোষ ঠাকুর কহেন, “আমি আপনাকে পুত্র অপেক্ষা ভালবাসি, অতএব ছাড়িয়া গিয়া কিরূপে থাকিব ?” চৈতন্তদেব তৎপ্রবণে কহেন, “তুমি যাইয়া এক কৃষ্ণমূর্তি স্থাপন করিয়া আমার স্থায় তাহার প্রতি বাৎসল্য প্রকাশ
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯৯৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।