(స్సౌ ማዓ> করিও। তৎশ্রবণে ঘোষ ঠাকুর অগ্রদ্বীপে যাইয়া গোপীনাথ নামক বিগ্রহ স্থাপন করেন। ঘোষ ঠাকুর গোপীনাথকে ফ্রাপত্যনিৰ্ব্বিশেষে স্নেহ করিতেন বলিয়া অস্থাপি প্রতি বৎসর বারুণীর পূৰ্ব্বে চৈত্র মাসের কৃষ্ণ একাদশীতে গোপীনাথ কর্তৃক ঘোষ ঠাকুরের শ্রাদ্ধ হইয়া থাকে। এই সময় অগ্রদ্বীপের মেলা হয়। অগ্রদ্বীপে গোপীনাথ থাকায় ঐ স্থান হিন্দুদিগের একটি তীর্থস্থান হইয়াছে। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সময় রাজ নবকৃষ্ণ ঐ ঠাকুর অপহরণ করিয়া কলিকাতায় আনেন। কৃষ্ণচন্দ্র গবর্ণরের নিকট আবেদন করিলে ঠাকুর প্রত্যপণ করিবার আদেশ হয়। ইহাতে নবকৃষ্ণ অবিকল আর একটা প্রতিমূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ করিয়া চিনিয়া লইতে কহেন। ঠাকুরের একজন পরিচারক মূৰ্ত্তি দেখিয়া চিনিয়া লয়। অদ্যপি নবকৃষ্ণের প্রদত্ত বহুমূল্য আভরণাদি ঠাকুরের গাত্রে আছে। এই দেবমূৰ্ত্তি পুৰ্ব্বে পাটুলির জমীদারদিগের ছিল । এক সময় মেলায় ৫/৬ 'জন লোক খুন হওয়ায় তাহারা ঠাকুরটকে নিজের বলিয়া অস্বীকার করায় কৃষ্ণনগরের রাজা নিজের বলিয়া পরিচয় দেন এবং তদবধি তাঁহারই হয়। রাজা ঠাকুরের সেবার্থ কুষ্টিয়া প্রভৃতি কতকগুলি গ্রাম দান করিয়াছেন । - অগ্রদ্বীপের পর কাটোয় ; এই স্থানে নবাব মুরশীদ কুলি খার ੋਸਭ থাকিত এবং একটা দুর্গও ছিল। মহারাষ্ট্ৰীয়ের এই স্থানে অত্যন্ত উপদ্রব করিত। কাটোয়ায় চৈতন্তদেব সন্ন্যাসধৰ্ম্ম অবলম্বন করেন । এজন্য এখানে চৈতন্ত ও নিত্যানন্দের প্রতিমূৰ্ত্তি আছে। কাটোয়ার সন্নিকটে ভারতলক্ষ্মী ইংরাজের আশ্রয় গ্রহণ করেন। এই স্থানের ১৬ মাইল দূরে বিখ্যাত পলাশীর মাঠ। পলাশীর যে স্থানে যুদ্ধ হয়, সেই স্থান এক্ষণে গঙ্গাগর্ভে লীন হইয়াছে। পলাশীর মাঠে লক্ষ-বাগ নামে একটী বাগান. আছে। ঐ বাগানে এক লক্ষ ভাল ভাল আস্ত্র গাছ ছিল। ঐ বাগানেই নবাবের সৈন্তাধ্যক্ষকে কবর দেওয়া হয় এবং ইংরাজের এই বাগানেই
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯৯৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।