৭৭২ দেবগণের ম -ভ্য আগমন । শিবির সংস্থাপন করিয়াছিলেন। পূৰ্ব্বে এই বাগানে বিস্তর চোর-ডাকাইত বাস করিত। পলাশীর, সন্নিকটে বিশ্রামতলা নামক একটি স্থান আছে। ঐ স্থানের বটতলায় বলিয়া চৈতন্যদেব বিশ্রাম করেন ও মস্তক মুণ্ডন - করিয়া সন্ন্যাসী হন। অদ্যপি বৃক্ষট বর্তমান আছে। বগুলায় ট্রেণ অনেকক্ষণ থাকে, কারণ এই স্থানে এঞ্জিন বদল হয় ও : কলে জল পুরিয়া লয়। এই কাজ শেষ হইলে ট্ৰেণ,ভূপান্থপূ শব্দে ছুটিতে ছুটিতে কৃষ্ণগঞ্জ ষ্টেশনে উপস্থিত হইল । বরুণ কহিলেন, “এই ষ্টেশনে নামিয়া শিবনিবাস নামক একটি স্থানে যাইতে হয়। মহারাষ্ট্রীয়দের উপদ্রবসময় নিরাপদে বাস করিতে পার। যাইবে ভাবিয়া মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র ঐ নগরে বাসস্থান নিৰ্ম্মাণ করেন। এখানে অস্তাপি রাজধাটা প্রভৃতি ও তৎপ্রতিষ্ঠিত রাজরাজেশ্বরী, রাষ্ট্ৰীশ্বর এবং রামচন্দ্র এই তিন দেবমূৰ্ত্তি বর্তমান আছে। রাজরাজেশ্বরের মন্দিরের দ্যায় উচ্চ মন্দির এ প্রদেশে আর নাই । শিবনিবাসের দক্ষিণ কৃষ্ণপুর নামক একটা গ্রামে অনেক গোয়ালার বাস । এই কৃষ্ণগঞ্জ, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র স্থাপন করেন। এখান হইতে ট্ৰেণ ছাড়িয়া চুয়াডাঙ্গায় থামিলে বরুণ কহিলেন, এই ষ্টেশন হইতে ৭.৮ ক্রোশ দূরে মেহেরপুর নামক একটা স্থান আছে। ঐ স্থানের মল্লিক ও মুখোপাধ্যায় জমীদারের বিখ্যাত। মেহেরপুর বেশ ভদ্র গ্রাম । ইহা একটী মহকুম, সুতরাং এখানে দুই একটী ছোট ছোট আফিস আদালত আছে। মেহেরপুরে বলরাম ভজ নামক কর্তৃভজার দ্যায় একট দল আছে। বলা হাড়ি নামক একব্যক্তি ঐ ধৰ্ম্মের প্রবর্তক । বলরাম মেহেরপুরের মল্লিকদের ঠাকুর বাড়ীর চৌকিদার ছিল। এক সময়ে চোরে ঠাকুরের গহনাপত্র চুরী করায় বাবুরা বলরামকে অত্যন্ত প্রহার করেন। প্রহারের পর বলরাম মনের দুঃখে গ্রাম হইতে চলিয়া যায় এবং কিছুদিন পরে বিস্তর শিষ্য সংগ্ৰহ করিয়া ফিরিয়া আসে । - পুনরায় ট্রেণ ছাড়িল এবং ট্রেণ রামনগর, জয়রামপুর, চুয়াডাঙ্গা,
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯৯৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।