ማዓ8 দেবগণের মর্ত্যে আগমন এই সময় ষ্টীমার খোলার উদ্যোগ করায় দেবগণ পদ্মার নিকট বিদায় লইয়া উপরে উঠিলেন। এবং যথাসময়ে সারাঘাটে পৌছিলেন । দেবগণ পিতামহের হাত ধরিয়া ট্রেণে তুলিলেন । পিতামহ কছিলেন, *অতগুলি গাড়ী বাদ দিয়া পশ্চাতের গাড়ীখানিতে উঠলে কেন ?” বরুণ। ও গুলো ধুবড়ী লাইনের গাড়ী। ও গুলোকে পাৰ্ব্বতীপুরে রাখিঞ্জ ট্রেণ দাঞ্জিলিং যাইবে এবং আর একখানি কল ঐ গাড়ীগুলোকে জুতে নিয়ে ধুবড়ী অভিমুখে প্রস্থান করিবে । ধুবড়ী লাইনের পথে পুটে ও ংপুর নামক ছুটী স্থান আছে। পুটে রাণী শরৎকুন্দরীর জন্য বিখ্যাত । ংপুর একটী জেলা। রংপুর জেলায় অনেকগুলি জমাদার আছেন, তন্মধ্যে তাজহাটের গোবিন্দলাল রায়, কাকিনীয়ার রাজা মহিমারঞ্জন রায় চৌধুরী ও তুষভাণ্ডারের রায় রমণীমোহন রায় বিখ্যাত। ইহঁদের মধ্যে রাজা মহিমারঞ্জন দাতা, বদান্ত, মিষ্টভাষী, বিদ্যোৎসাহী ও প্রজাবৎসল । ইহঁর রাজধানী কাকিনীয়ায় দেবালয়, অতিথিশালা, চিকিৎসালয়, বিদ্যালয় প্রভৃতি বিস্তর আছে। ঐস্থান হইতে রাজার সাহায্যে "রঙ্গপুর দিকৃপ্রকাশ” নামক একখানি সাপ্তাহিক সংবাদ পত্র বাহির হইয়া থাকে । এই সময় ট্রেণ ছপাছপ শৰে ছুটিতে লাগিল। দেবতার বেঞ্চিতে শয়ন করিয়া নিদ্রাভিভূত হইলেন। তাহারা ভোরে উঠিয়া দেখেন, ট্রেণ জলপাইগুড়িতে উপস্থিত হইয়াছে। র্তাহারা সকলে উঠিয়া গল্প আরম্ভ করিলেন । পিতামহ কছিলেন, "ইহারা দেখছি, ভারতের আন্তে পৃষ্ঠে ললাটে রেল চালাইয়াছে । অশ্চির্য্য ক্ষমতা !” এই সময় ট্রেণ আসিয়া সিলিগুড়ি ষ্টেশনে উপস্থিত হইল। দেবগণ ট্রেণ হইতে নামিলে বরুণ কহিলেন “তোমরা দুই তিনটা করিয়া জামা গায় দাও, এইবার দাৰ্জিলিং উঠিতে হইবে। ঐ যে ট্রামগাড়ীগুলি দেখিতেছ, উহাতে উঠিয়া আমরা দার্জিলিং যাইব ।” দেবগণ তৎপ্রবণে গাত্রবস্ত্র গায়ে দিলেন এবং ট্রামগাড়ীতে উঠিলেন।
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯৯৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।