পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অর্থাৎ স্বরলোকে বঙ্গের পরিচয় গ্রন্থটির মূত্রণ প্রকাশেও লেখকের সঙ্গে দ্বিজেন্দ্রনাথের অস্তিরিক ঘনিষ্ঠত সহজেই অনুমেয় । যে ঘনিষ্ঠভা দ্বারকানাথ ভয় সম্পর্কে কিছুটা অন্তত অনুমান করা গেলেও হরনাথ সম্পর্কে কিছুমাত্র অনুমান করা যায় না। জোড়ার্সাকো ঠাকুরবাড়ির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত লেখক হেমচন্ধের তীব্র রসবোধের প্রমাণ স্বয়ং দ্বিজেন্দ্রনাথ। দ্বিজেন্দ্রনাথের মত মুরসিক বন্ধুর সঙ্গে আরেকটি প্রমাণ হেমচন্দ্রের ‘বন্ধুশ্রেষ্ঠ গুরু শিক্ষাদাতা জাঞ্জিত পুত্ৰোপম হিসেবে বাংলাদেশের একটিই চরিত্র। ডঃ বনবিহারী মুখোপাধ্যায় জীবনের শুরুতে যিনি সংস্কৃত প্রিয় এবং পরবর্তী জীবনে ডাক্তার হলেও তীব্র রঙ্গব্যঙ্গ রসবোধে বিভোর । এই বিচিত্র চরিত্র সম্পূর্ণ একক এবং নির্জন । অম্বকরণ অনেক সময়ই মূল বস্তুর চেয়েও বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ংস্কৃতজ্ঞ লেখকের ব্যঙ্গাত্মক স্বরলোকে বঙ্গের পরিচয়ে যে সাধুভাষার জটিলতা ছিল —জনপ্রিয়তার সরল কলম ধরে দুর্গাচরণ রায় আসল বস্তুকে ছাড়িয়ে সেই উপলক্ষকে উপস্থাপিত করলেন ‘দেবগণের মতো আগমন’ গ্রন্থে, উজ্জলতর এবং জনপ্রিয়তর রূপে । বইটি জনপ্রিয় হলেও লেখকের নাম শুরুতে স্থপ্রমানিত ছিল না । সংস্কৃতজ্ঞ দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ ছিলেন সোমপ্রকাশ পত্রিকার সম্পাদক । সোমপ্রকাশ ছিল ভারী, গম্ভীর, গভীর পত্রিকা। ১২৮৭ বঙ্গাব্দের ৮ই বৈশাখ থেকে ‘নব কলেবর ধারণ করিয়া কলিকাতা মুঙ্গাপুর দপ্তরিপাড়া কল্পক্রম যন্ত্রে মুদ্রিত হইয়া’ সোমপ্রকাশ প্রকাশিত হতে থাকে । আর কল্পদ্রুম যন্ত্র থেকেই প্রকাশিত হতে থাকে একটি অপেক্ষাকৃত হাল্কা পত্রিকা কল্পক্রম, দ্বারকানাথই সম্পাদক । ১২৮৭ বঙ্গাব্দ থেকে কল্পদ্রুমেই ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় দেবগণের মর্ত্যে আগমন । তবে কোনো লেখকের নাম থাকত না । দেবগণের মর্ত্যে আগমন অনেকদিন পর্য্যন্ত দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণের রচিত বলিয়া লোকের ধারণা ছিল" ১ * । কিন্তু এ ধারণা সঠিক কিনা সন্দেহ। দ্বারকানাথের গ্রন্থপঞ্জীতে এই বইয়ের নামোল্লেখ নেই। সোমপ্রকাশ সম্পাদনার কাজ ছাড়বার পর দ্বারকানাথ কল্পঙ্কমের সম্পাদনাও ত্যাগ করে অমুস্থ স্বাস্থ্য নিয়ে ১৫ খৃষ্টীয় উনবিংশ শতাব্দীর বঙ্গসাহিত্যে হাস্যরস-চার বন্দ্যোপাধ্যায় با ۰ د-ه هش * 38